দুলাল দে: আইএসএলের চূড়ান্ত লড়াইয়ে কী হবে, তা এখনও জানা নেই। তবে ফাইনালে মাঠে বল গড়ানোর আগে দারুণ আনন্দ কেরল ও হায়দরাবাদ শিবিরে। কারণ দীর্ঘদিন পর বায়োবাবলের গণ্ডি থেকে বেরনোর সুযোগ পেলেন ফুটবলাররা।
করোনা আবহের মাঝেই গত বছর শুরু হয় আইএসএল (ISL 2021-22)। ফুটবলারদের সুরক্ষার কথা ভেবে টুর্নামেন্টের ভেন্যু হিসেবে শুধু গোয়াকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে বায়োবাবলে থেকেই একের পর এক ম্যাচ খেলছে ক্লাবগুলি। মাঠে দর্শক প্রবেশের উপরও জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে রবিবারের ফাইনালের আগে বদলে যাচ্ছে চেহারাটা। চলতি মরশুমে এতদিন ভারচুয়াল সাংবাদিক বৈঠকেই হাজির হয়েছেন ফুটবলার ও কোচেরা। তবে শনিবার বায়োবাবল থেকে মুক্তি পাওয়ায় সরাসরি সাংবাদিকদের সামনে আসতে পারলেন ওগবেচেরা।
[আরও পড়ুন: হোলিতে হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে রোহিত শর্মা, টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘ঋতিকা আপনা কুত্তা সামাল’]
দীর্ঘদিন ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে (Biobubble) থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়া যে কতখানি কঠিন কাজ, তা বারবার উঠে এসেছে খেলোয়াড়দের মুখে। তাই বায়োবাবলের নিয়ম উঠতেই উচ্ছ্বসিত হায়দরাবাদের নাইজেরীয় তারকা ওগবেচে। চলতি টুর্নামেন্টে ১৯ ম্যাচে ১৮টি গোলের মালিক বলছিলেন, “মনে হচ্ছে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। এতদিন ধরে শুধু কল্পনা করে নিতে হত যে দর্শকরা আমাদের খেলা দেখছে। কিন্তু মাঠে কোনও উত্তেজনাই ছিল না। অবশেষে ভরতি গ্যালারির সামনে খেলার সুযোগ পাব। সমর্থকরা আমাদের জন্য গলা ফাটাবে। ভাবলেই শিহরণ জাগছে।”
আইএসএল ফাইনালে ১৮ হাজার দর্শককে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আয়োজকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই ফাইনালের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফুটবলপ্রেমীরা মাঠমুখী হতে কতখানি মুখিয়ে ছিলেন, এ যেন তারই প্রমাণ। ম্যাচের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই টিকিটের হাহাকার পড়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) সমর্থকরাই নাকি বেশি টিকিট কিনেছেন। এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে হায়দরাবাদ এবং জামশেদপুরকে হারিয়ে ওঠা কেরলের মধ্যে এবার কে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়, তারই সাক্ষী থাকতে ফাতোরদা স্টেডিয়াম ভরাবেন দর্শকরা।