সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : বেঁচে আছে মাসুদ আজহার। গতকাল সকালে থেকেই বিভিন্ন সূত্রে খবর ছড়াচ্ছিল, পাকিস্তানে মারা গেছে সে। এরপরই কেউ কেউ বলছিল, ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের দিন বালাকোটের ক্যাম্পে ছিল মাসুদ। বোমার আঘাতে সেও মারা গিয়েছে। আবার কেউ বলছিল দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিল ওই জঙ্গি নেতা। পাকিস্তানের সেনা হাসপাতালে ভরতি ছিল। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার অবনতির জেরে তার মৃত্যু হয়। মাসুদের শারীরিক অসুস্থতার কথা স্বীকার করে নিয়ে সে যে হাসপাতালে ভরতি আছে তা জানানো হয়েছিল ইমরান খানের মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকেও। যদি গতকাল তার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চারিদিকে জল্পনা শুরু হয়। এরপরই জইশ-ই-মহম্মদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে তার মৃত্যুর খবর মিথ্যে ও সে সুস্থ আছে বলে জানানো হয়।
জল্পনাটির শুরু হয় টুইটার থেকে। অনেকে টুইট করেন, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের ফলেই খতম হয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি। কেউ কেউ আবার এটা আদৌও সত্যি কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের যুক্তি, ভারতের চাপ থেকে বাঁচতে ভুল খবর ছড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
[প্রাসাদ না জঙ্গিঘাঁটি! জইশের হেড কোয়ার্টার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন?]
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ খুরেশি মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছে বলে স্বীকার করেন। পাশাপাশি এও জানান যে তার শরীরের অবস্থা এত খারাপ যে সে নিজের বাড়ি থেকে বের হতে পারে না।
[বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে ক্যানসার গবেষণায় নতুন পথ দেখালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত]
১৯৯৯ সালে ভারতের হাতে ধৃত মাসুদ আজহার এবং আরও দুই জঙ্গিকে ছাড়াতে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্য়াক করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যায় হরকত-উল-মুজাহিদিন। বিমানে থাকা যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে ওই জঙ্গিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ভারত। পাকিস্তানে ফিরে গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও পাকিস্তান সেনার সহযোগিতায় ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে মাসুদ। এরপর ২০০১ সালে সংসদ ভবন ও ২০১৬ সালে পাঠানকোটের এয়ারবেসে হামলার পিছনে কাজ করেছিল জইশ প্রধান মাসুদের মাথা।
The post বেঁচে আছে জঙ্গি মাসুদ, বিবৃতি দিয়ে দাবি জইশ-এর appeared first on Sangbad Pratidin.