সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার কোপে ধাক্কা খেয়েছে একাধিক শিল্প। তার মধ্যে অন্যতম হল পর্যটন শিল্প। আতিথেয়তা শিল্প বা হসপিটালিটি সেক্টরও ধাক্কা খেয়েছে লকডাউনের জেরে। ব্যবসায় ব্যাপক মন্দার জেরে একের পর এক ঝাঁপ ফেলছে নামী-দামি হোটেলগুলি। অতিথির অভাবে এবার বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার পাঁচতারা হোটেল সুইসোটেল (Swissotel)। হোটেলর কর্ণধার অম্বুজা-নেওটিয়া গোষ্ঠী এবং ফরাসি হসপিটালিটি চেন অ্যাকর-এর (Accor) মধ্যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। চুক্তি নবীকরণ না হওয়ায় আপাতত সাময়িক ভাবে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে প্রায় ২৫০ কর্মীর।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে ফরাসি সংস্থার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে আপাতত এই হোটেলটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অম্বুজা-নেওটিয়া গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানিয়েছেন। সুইসোটেলে প্রায় ২৫০ জন কর্মী কাজ করেন। আপাতত হোটেল বন্ধ হওয়ায় সেই কর্মীদেরকে সাময়িক কিছু ভাতা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সবথেকে কাছাকাছির মধ্যে অবস্থিত পাঁচতারা হোটেল হল Swissotel। এই হোটেলের অধিকাংশ অতিথিই হলেন বিদেশি পর্যটক। কিন্তু লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান। যার ফলে বিমানবন্দরের উপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল এই হোটেলে বিদেশি অতিথিদের অভাবে দারুণভাবে ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে এই হোটেলের। যার জেরে আপাতত হোটেলের ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ, এমনটাই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সংবাদমাধ্যম কনটেনমেন্ট জোন নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে’, ক্ষোভপ্রকাশ মমতার]
যদিও হোটেল ফের খুলবে বলে জানিয়েছেন অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া। তিনি বলেছেন, ‘গত কয়েক মাস কোনও আন্তর্জাতিক উড়ান শহরে না আসায় সুইসোটেলের ব্যবসা মার খাছিল। যে কারণে আগামী কয়েক মাসের জন্য এই হোটেলটি আমরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অ্যাকরের সঙ্গে যাতে চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা যায় সেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। অথবা অন্য সংস্থার সঙ্গেও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করব।’
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত, কী করে উনি বলছেন ৭-৮ শতাংশ?’, মমতাকে পালটা দিলীপের]
The post লকডাউনে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান, অতিথির দেখা না মেলায় ঝাঁপ ফেলল Swissotel appeared first on Sangbad Pratidin.