সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গজনির সুলতান মাহমুদ গজনি (Mahmud Ghazni)। ইতিহাসের পাতায় তাঁর পরিচয় গুজরাটের (Gujarat) সোমনাথের মন্দির ধ্বংসকারী হিসেবে। সেই অত্যাচারী দস্যুকে ‘বিখ্যাত মুসলিম যোদ্ধা’ বলে বর্ণনা করল পাক ঘনিষ্ঠ তালিবান (Taliban) নেতা আনাস হাক্কানি (Anas Haqqani)। হাক্কানি নেটওয়ার্কের অন্যতম চাঁই আনাসকে মঙ্গলবার গজনির সমাধিস্থল পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছে। আর তারপর টুইটারে সেই পরিদর্শনের ছবি পোস্ট করে রীতিমতো শ্রদ্ধাবনত হতে দেখা গিয়েছে তাকে।
নিজের পোস্টে হাক্কানিকে লিখতে দেখা যায়, ”আজ আমরা সুলতান মাহমুদ গজনভির সমাধিস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তিনি ছিলেন দশম শতাব্দীর এক বিখ্য়াত মুসলিম যোদ্ধা ও মুজাহিদ। তিনি এক শক্তিশালী মুসলিম শাসন স্থাপন করেছিলেন গজনি প্রদেশে। সোমনাথের মন্দির তিনিই ধ্বংস করেছিলেন।”
[আরও পড়ুন: গির্জায় যৌন হেনস্তা ২ লক্ষেরও বেশি শিশুর! ‘লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা পোপ ফ্রান্সিসের]
ইতিহাসের পাতায় গজনির নাম রয়ে গিয়েছে মূলত সোমনাথ মন্দিরের ধ্বংসকারী হিসেবেই। জনশ্রুতি, এক-দু’বার নয়, ১৭ বার তিনি ভারত আক্রমণ করেছিলেন। ১০৩০ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে আফগানিস্তানের এই স্থানে সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে। পরে সেখানেই গড়ে তোলা হয় মাজার। সেই মাজার বহুদিন সংস্কারহীন হয়ে পড়ে রয়েছে। হাক্কানির পরিদর্শন ও প্রশস্তি থেকে ইঙ্গিত মিলছে এবার হয়তো সেই মাজারের সংস্কারের পথে হাঁটতে পারে তালিবান।
গত আগস্টে নতুন করে আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। সেই সময় থেকেই আশঙ্কা শুরু হয় ফের অন্ধকারের পথে এগোচ্ছে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’। এর আগের বার শাসক থাকাকালীন বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করেছিল তারা। ফলে সোমনাথ মন্দির ধ্বংসকারীর প্রশস্তি যে শোনা যাবে জেহাদি নেতার মুখে, তাতে আশ্চর্যের কিছু দেখছে না ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে সোমনাথের ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের সংস্কার সাধনের পরিকল্পনা করেছিলেন স্বাধীনের ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীসোমনাথ মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।