সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যাকে বিক্রির চেষ্টার করার অভিযোগ উঠল এক অটোচালকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লোন ছিল ওই অটোচালকের। তা শোধ করার জন্যই নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে বিক্রির চিন্তাভাবনা করে সে। স্ত্রীকে ৫ লাখ ও দুই মেয়েকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করার কথা ভেবেছিল।
[ কাশ্মীর যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ১০ ভারতীয় জওয়ান ]
ওই অটোচালকের বয়স ৩৮ বছর। তাঁর চার মেয়ে ও এক ছেলে। সবার বয়সই ১৮ বছরের নিচে। গত কয়েকমাস আগে একটি বন্ডে সই করেছিল ওই ব্যক্তি। সেই বন্ড অনুসারে ১.৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে তার নিজের ১২ বছরের কন্যাকে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেবে। স্বামীর সঙ্গে সেই ক্রেতার এই চুক্তির কথা জানতেন স্ত্রী। তিনি বলেছেন, যতদিন না ওই ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেওয়ার সময় এসেছে ততদিন পর্যন্ত মেয়েকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছিল তাঁর স্বামী। স্ত্রীর ভয় ছিল, তাঁর এক মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, বাকিদের সঙ্গেও তাই হতে পারে। তাই তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কাছে পালিয়ে যান। সেটি হায়দরাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে কুরনোল জেলার নন্দল গ্রামে। সেখানে গিয়ে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান।
অভিযুক্তের স্ত্রী এও জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মদ্যপ। নিজের স্ত্রীকেও সে বিক্রির চেষ্টা করেছিল। নিজের তুতো ভাইয়ের কাছে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করার জন্য স্ত্রীকে চুক্তি সই করতে জোর করত সে।
[ বড়সড় অপরাধ না হলে রাতে পুলিশি হয়রানি নয়, পদক্ষেপ যোগী সরকারের ]
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর জেলার মহিলা ও শিশু সুরক্ষা দপ্তরের অফিসাররা ওই দম্পতির বাড়ি পৌঁছন। তাঁরা দেখেন বাড়ির দুটি মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় চলছে। একজনের বয়স ১৭ বছর। অন্যজন কৈশোরেও পৌঁছয়নি। তার বয়স ১২ বছর। তাদের মা জানান, তিনি নিজের ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিজের বাবা-মায়ের কাছে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে অনুসরণ করে। বলে, “আমার মেয়ে, আমি যা ইচ্ছে করব।” ভয়ের চোটে তিনি সাহস করে আর কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
ওই দুই নাবালিকাকে (১৭ ও ১২ বছরের) উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর মামলা দায়ের করা হবে। তবে সূত্রের খবর, পুলিশ ওই দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া করিয়ে দিয়ে দিতে চাইছে, যাতে কোনও মামলা দায়ের না হয়।