সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়েই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ ওঠে। তেমনই গুরুতর এক দাবি করা হল একটি রিপোর্টে। যেখানে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড (Android) এবং আইওএস (আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম) প্রায় প্রতি ৫ মিনিট অন্তর আপনার ফোন থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে চলছে। এবং সেগুলি গুগল (Google) এবং অ্যাপলের (Apple) কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
আয়ারল্যান্ডে ট্রিনিটি কলেজের স্কুল অফ কম্পিউটার সায়েন্স অ্য়ান্ড স্ট্যাটিসটিক্সের এক গবেষক ডগলাস লেথ এই তথ্য ‘চুরি’ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। গুগল এবং অ্যাপল দুই সংস্থা মোবাইল ফোন থেকে প্রায় প্রতি সাড়ে ৪ মিনিট এই তথ্য নেয়। এবং ফোন যদি অব্যবহৃত অবস্থায় রাখা থাকে তখনও ডেটা নেওয়া হয়।
ওই দুই অপারেটর, ফোনের আইএমইআই, হার্ডওয়ার সিরিয়াল নম্বর, সিম সিরিয়াল নম্বর, এবং আইএমএসআই, হ্যান্ডসেট ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। ইমেল অ্যাড্রেস এমনকি পেমেন্ট কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। তবে এই তালিকা এখানেই থেমে নেই। কখন ফোনে সিমকার্ড ঢোকানো হচ্ছে তাও সংগ্রহ করা হয়। যখনই লোকেশন অন বা অফ করা হয় সে তথ্যও সংগ্রহ হয়। শুধু তাই নয় ফোনের আইপি অ্যাড্রেস ধরে ব্যবহারকারীর ভৌগলিক অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
[আরও পড়ুন: হাতে নগদ মাত্র ৫০০ টাকা, সেই নিয়েই ভোটে লড়ছেন SUCI প্রার্থী নবকুমার দাস]
গুগল ক্রোম, ইউটিউব, গুগল ডকস্, সেফ্টিহাব, গুগল মেসেঞ্জার গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। আর আইফোন সিরি, সাফারি এবং আইক্লাউড থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। আর এই তথ্য দেওয়া না দেওয়ার ক্ষেত্রে ফোন ব্যবহারকারীর কার্যত কোনও হাত নেই। আর আইফোনের থেকে কোনও কোনও ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোন থেকে ২০ গুণ বেশি তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
যদিও এই গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গুগল এবং অ্যাপল। সেই সঙ্গে যে পরিমান তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, তার পরিমাণও ঠিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের তরফে। অ্যাপল আবার দাবি করেছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য তাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়।