সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ইডির আবেদনেই সাড়া দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ১১ দিন ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মেয়াদ ফুরলে অর্থাৎ ২১ মার্চ তাঁকে ফের আদালতে পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। এই সময় তাঁকে এবং এই মামলায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এর মধ্যে তাঁর মেয়ে সুকন্যা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করে ইডি। ১১ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার বিরোধিতা করেন অনুব্রত নিজে এবং তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সেসব আবেদন খারিজ করে বিচারক ১১ দিনেরই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: কুন্তল, তাপসরা কি রাজসাক্ষী? সিদ্ধান্ত নেবে সিবিআই]
এই নির্দেশ শোনার পর স্বভাবতই হতাশ হয়ে পড়েন অনুব্রত। এরপর আদালত থেকে বেরিয়ে প্রায় ৩০০-৪০০ মিটার হেঁটে গাড়ির কাছে আসেন। তাতেই হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি। গাড়িতে ওঠার আগে বসে পড়েন। অনেকক্ষণ ধরে বিশ্রাম নেন। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ”এত হাঁপাচ্ছেন কেন?” তাতে অনুব্রত উত্তর দেন, ”আমার তো শারীরিক সমস্যা আছেই। এতটা হেঁটে ক্লান্ত।” পরিবারের উদ্দেশে কী বার্তা দেবেন? তাতে নিরুত্তর ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। এরপর তিনি ধীরে ধীরে গাড়িতে উঠে যান। তাঁকে সর্বক্ষণ ঘিরে ছিলেন ইডি অফিসার।