সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নিজের গড় ছেড়ে দিল্লিতে মন টিকছে না কেষ্টর। তাই তিহাড়ের জেল হেফাজত শেষের আগেই ফের আদালতের দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আরজি একটাই, তিহাড় নয়, আসানসোল জেলে ফিরতে চাই। দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। মামলার শুনানি ৩ এপ্রিল। সেদিনই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ১৩ দিনের জেল হেফাজত শেষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দল তাঁর উপর আস্থা রেখেছে। জেলা সভাপতির পদে বহাল রাখা হয়েছে জেলবন্দি অনুব্রতকে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজের গড়ে ফিরতে চাইছেন কেষ্ট।
গরু পাচার মামলা ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ১৩ দিনের জেল হেফাজতে ঠাঁই হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেলে। কিন্তু সেখানে মন টিকছে না তাঁর। তাই হেফজত শেষের আগেই আসানসোলে ফেরার আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন। কেষ্ট মণ্ডলের যুক্তি, সেই তো দিল্লিতেও জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাহলে আসানসোল সংশোধনাগারেই ফেরত পাঠানো হোক। এই মর্মে আবেদন নিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে বিচারপতি রঘুবর সিংয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মামলার শুনানি ৩ এপ্রিল। উল্লেখ্য, ওই দিনই অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করার কথা।
[আরও পড়ুন: সাগরদিঘি মডেলে হলদিয়া বন্দরেও জয়ী বাম-কংগ্রেস জোট, শুভেন্দুর গড়ে ধাক্কা বিজেপির]
উল্লেখ্য, তিহাড় জেলেই রয়েছেন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং এনামুল হক। এবার তাঁদেরই সঙ্গে তিহাড়ে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। এই তিহাড় জেলে যাওয়ার বিরোধিতায় একাধিক আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু লাভ হয়নি। এবার ফের সেই তিহাড় থেকে আসানসোলে ফেরার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলেন তিনি।