সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বাংলার ক্রাইসিস ম্যান। দল যখন বিপন্ন, তখন তিনি মসিহার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রতি ম্যাচের আগে নিজের মনে মনে প্রতিপক্ষের বোলারদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা তৈরি করেন। এহেন অনুষ্টুপ মজুমদারের ব্যাট কথা বলল রনজি ট্রফির সেমিফাইনালে। আঙুলে চোট নিয়ে দলকে টেনে তুললেন। সেঞ্চুরি করলেন তিনি। শতরান করার পরে গ্লাভস খুলে আঙুলের চোট দেখালেন। চোট নিয়েও যে লম্বা ইনিংস খেলা যায়, আরও একবার দেখিয়ে দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। দিনান্তে তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে ১২০ রান।
অনুষ্টুপের পাশাপাশি সুদীপ ঘরামিও সেঞ্চুরি করেন। ১১২ রান করেন তিনি। মূলত, অনুষ্টুপ ও সুদীপের জন্যই দিনান্তে বাংলাকে ভদ্রস্থ দেখাচ্ছে। এই দুই ব্যাটসম্যান রুখে না দাঁড়ালে বাংলা হয়তো বিপন্ন হত। মধ্যপ্রদেশ আরও চেপে ধরতে পারত বাংলাকে। কিন্তু এক লড়াকু ক্রিকেটার এবং এক তরুণের লড়াইয়ে দিনের শেষে বাংলার রান ৪ উইকেটে ৩০৭ রান।
[আরও পড়ুন: বাবার মুম্বই বা গিলের গুজরাট নয়, আইপিএলে এই দলকেই সমর্থন করেন শচীন-কন্যা সারা]
অথচ একসময়ে মাত্র ৫১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। দুই ওপেনার করণ লাল (২৩) ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ (২৭) বাংলার ভিত মজবুত করতে পারেননি। দু’ জনের উইকেট চলে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়েছিল বাংলার। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে বাংলা ঘুরে দাঁড়ায়। তার পিছনে রয়েছে অনুষ্টুপ ও সুদীপের ব্যাট। দু’ জনে ২৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অনুষ্টুপ যখন আউট হন, তখন বাংলার রান ৩ উইকেটে ২৯২। আর চার রান যোগ হওয়ার পরে আউট হন সুদীপ। প্রথম দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন মনোজ তিওয়ারি (৫) ও শাহবাজ আহমেদ (৬)।
[আরও পড়ুন: কলকাতা ময়দানে নজিরবিহীন ম্যাচ, ১০৬৭ রান করল দল, প্রতিপক্ষ অলডাউন ৪ রানেই]