সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজনের শাস্তি অপরজনকে। তাও আবার লঘু দণ্ড নয়, একেবারে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরেলিতে। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সহকর্মীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, জানতে পেরে প্রতিশোধ নিতে ওই সহকর্মীর স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের (Killing) মতো অভিযোগ উঠল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার চারদিনের মধ্যে ওই জওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এই ত্রিকোণ প্রেম এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা জওয়ানের নাম নীতীশ পাণ্ডে। অভিযোগ, নীতীশের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সহকর্মী এবং প্রতিবেশী মনোজ সেনাপতির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extra Marital Affairs) গড়ে উঠেছিল। নীতীশের কানে আসে, সেনাপতি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করছে। স্ত্রীর নগ্ন ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে প্রতারণা করতে চাইছে। এসব শুনে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হয় নীতীশ পাণ্ডের।
[আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে নওশাদ সিদ্দিকি, ধর্মতলার মঞ্চে যোগ দিয়ে অনশনের হুঁশিয়ারি]
গত ১৩ তারিখ সোজা মনোজ সেনাপতির বাড়িতে হাজির হন নীতীশ পাণ্ডে। তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা একাই বাড়িতে ছিলেন। তাঁকে নীতীশ বলেন, স্বামীকে ডেকে পাঠাতে। তাঁর স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও, ছবি যেন সেনাপতির মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়, সুদেষ্ণাকে বারবার সেই চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে সুদেষ্ণা ও নীতীশ বাকবিণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই মেজাজ হারান নীতীশ। অভিযোগ, পকেট থেকে খুকরি (Khukri) বের করে সুদেষ্ণার ঘাড় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে কোপায় নীতীশ। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুদেষ্ণা। এরপর মৃতদেহ পুঁতে দেয় নীতীশ। প্রমাণ লোপাট করতে খুকরি ব্যাগে ঢুকিয়ে হাত ধুয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন মমতা, দায়িত্ব বাড়ল সিদ্দিকুল্লা-অরূপের]
বাড়ি ফিরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে মনোজ সেনাপতি পুলিশে খবর পাঠান। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) পরীক্ষা শুরু করে। তাতেই গোটা ঘটনা স্পষ্ট হয় ধীরে ধীরে। সেনাবাহিনীর সাহায্য়ে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত নীতীশ পাণ্ডেকে।