শম্পালি মৌলিক: ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি গীতিকার সাগর আনওয়ারকে হারিয়েছে বলিউড। তার দু’দিন আগে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন সংগীত পরিচালক ওয়াজিদ খান, গীতিকার যোগেশ গৌর। সেই শোক কাটার আগেই ফের ইন্দ্রপতন সিনেমা জগতে। চলে গেলে পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। শুধু বলিউড নয়, তার বিহনে মূহ্যমান টলিপাড়াও। এমনকী বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও শোকের আবহ। বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ব্যপ্তি ছিল এতটাই।
বাংলায় বাসু চট্টোপাধ্যায় অনেক ছবি বানিয়েছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘হচ্ছেটা কী’। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও পাওলি দামের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অরুণিমা ঘোষ। আজ, বাসু চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর তাঁর মনে সেইসব স্মৃতিই ভিড় করে আসছে। অরুণিমা জানালেন, ‘অসাধারণ পরিচালক তো বটেই, অসাধারণ মানুষও ছিলেন বাসুদা। আমাকে খুব পছন্দ করতেন। আমায় বলতেন, ‘আমি চামেলি কি শাদি বাংলায় করলে তোমায় নিয়ে করব।’ আমি নাকি ঠিক অমৃতা সিংয়ের মতো। খুব হাসিখুশি ছিলেন বাসুদা। তাঁর ছবিতে যখন কস্টিউম ঠিক করা হত, আমার পছন্দ না হলে আমি যে জামা পরে যেতাম, সেটা পরেই তাঁর সামনে হাজির হতাম। উনি বরাবর প্রশংসা করতেন। বলতেন আমার ড্রেস সেন্স নাকি মুম্বইয়ের সেলিব্রিটিদের মতো।’ বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করা তাঁর কেরিয়ারে অন্যতম মাইলস্টোন বলে জানান অরুণিমা।
[ আরও পড়ুন: ‘ভাল শিল্পী হলেই ভাল মানুষ হওয়া যায় না!’, শ্রীলেখা-সৌকর্যের তরজায় সরগরম নেটদুনিয়া ]
অভিনেতা ফিরদৌস পরিচালকের প্রয়াণকে ‘পিতৃবিয়োগ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, ‘বাবা মায়ের পর আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অবদান বাসু চট্টোপাধ্যায়। তিনি যদি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ না বানাতেন, তবে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন কোনওদিনই পূরণ হত না। আমি হয়তো অন্য কোনও প্রফেশনে থাকতাম। এমন একজন মানুষের চলে যাওয়াটা আমার কাছে পিতৃবিয়োগের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। বাবা মারা যাওয়ার পর যতটা কষ্ট হয়েছিল, ততটাই কষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। আরও কাজ করার ইচ্ছা ছিল। একসঙ্গে আমরা চারটে ছবি করছি। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘চুপিচুপি’, ‘টক ঝল মিষ্টি’, ‘হঠাৎ সেদিন’। আর একটি ছবি করার কথা ছিল। ‘বিয়ের ফাঁদে’। তার আগেই তিনি আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন। আমার, আমার পরিবারের সর্বপরি সমগ্র বংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রর্থনা করি তিনি যেন শান্তিতে থাকেন।’
বাসু চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছে বলিউডও। অনিল কাপুর লিখেছেন, তিনি সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকতেন। তিনি যেমন জিনিয়াস ছিলেন, তেমনই ছিলেন ভাল মানুষ।
অনুপম খের লিখেছেন, ‘আপনাকে মনে পড়বে বাসুদা।’
[ আরও পড়ুন: ‘আমাদের দেশে পশুদের সুরক্ষা বলে কিছু আছে?’ কেরলে হাতির হত্যা নিয়ে প্রশ্ন টলিউডের ]
The post ‘বাসু চট্টোপাধ্যায় আমায় নিয়ে বাংলা ছবি করতে চেয়েছিলেন’, স্মৃতিমেদুর অরুণিমা appeared first on Sangbad Pratidin.