সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের হিজাব বিতর্ক কর্ণাটকে (Karnataka)। স্কুলের নিষেধাজ্ঞা না মেনে ক্লাসে হিজাব পরার অভিযোগে সাসপেন্ড ২৪ জন ছাত্রী। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি (BJP) নেতা যশপাল সুভর্ণা ও শ্রীরামসেনা প্রধান প্রমোদ মুথালিকের মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিক ভাবেই এরপরই বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
কলেজ প্রশাসনের একজন সদস্য বিজেপি নেতা যশপাল সুভার্না। তাঁর শিরোচ্ছেদের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তাঁর বক্তব্য, ”সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের মেসেজ ও কল খুবই সাধারণ ব্যাপার। আমরা যখন দেশের হয়ে কাজ করি, তখন দেশবিরোধী সংগঠন ও বিশ্বাসঘাতকরা এমন হুমকি দিতেই পারি। আমি এসবকে গুরুত্বই দেব না। এটা জীবনের অংশ। আমরা সংবিধান মেনে কাজ করব। এই পরিস্থিতিতে ইনস্টাগ্রামে আমার কিংবা প্রমোদকে টার্গেট করে কী বলা হল তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা পালটা কোনও পদক্ষেপ করব না। তবে আমি জানতে চাই, এর পিছনে স্থানীয় কোন বাসিন্দারা রয়েছেন। সেটা আমরা অবশ্য়ই খুঁজে বের করব।”
[আরও পড়ুন: ‘লুকিয়ে বাঁচা যাবে না’, মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্যের পরই ভারতে হামলার হুমকি আল কায়দার]
গতকাল, মঙ্গলবারই ২৪ জন ছাত্রীকে বহিষ্কার করা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। ওই ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিল হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তারা জানিয়ে দেয়, তারা হিজাব পরবে। এরপরই তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওযা হয়।
উল্লেখ্য, কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারপর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সেই মামলার ভিত্তিতে কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court) জানিয়ে দেয়, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে। এবার ফের বিতর্ক ঘনাল হিজাবকে কেন্দ্র করে।