সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান! সোমবারই কংগ্রেস ত্যাগ করেন অশোক। জল্পনা শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রাক্তন সাংসদের কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে এদিনই তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক। ফলে কংগ্রেস শিবিরে ভাঙনের জল্পনা তুঙ্গে।
পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অশোক চহ্বানের কার্যালয়ের তরফের জানানো হয়েছে, আজ ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হাত শিবিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় ৫০ বছরের উপর। কিন্তু সোমবার কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন আদর্শ হাউসিং দুর্নীতিতে যুক্ত অশোক। মহারাষ্ট্রের স্পিকার রাহুন নারভেকরের সঙ্গে দেখা করে তিনি ইস্তফাপত্র তুলে দেন মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নানা পাটোলের হাতে। কংগ্রেস ছাড়ার পর অশোক চহ্বান বলেন, “বিধায়ক পদ থেকে আমি ইস্তফা দিয়েছি। একই সঙ্গে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: আজ কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’, কেন্দ্রের সঙ্গে গভীর রাতের বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র]
অশোকের দল ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খোলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে তিনি বলেন, “বিজেপির ওয়াশিং মেশিন খুবই শক্তিশালী। এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে দেশে বিজেপির ওয়াশিং মেশিন খুব ভালোভাবে কাজ করছে। কয়েকজন দলত্যাগ করছেন মানে এমন নয় যে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়ছে। নিঃসন্দেহে এগুলো দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু আমাদের দলে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অশোক চহ্বান বিজেপিতে যোগ দিলে শিবাজির দেশে এটি দ্বিতীয় বড় ধাক্কা হতে চলেছে কংগ্রেসের জন্যে। কারণ সূত্রের খবর, অশোক একা নন, তাঁর সঙ্গে অন্তত ১০-১২ জন কংগ্রেস বিধায়কও শিবির বদল করতে পারেন। গত মাসেই মিলন্দ দেওরা কংগ্রেস ছাড়েন এবং শিব সেনার একনাথ শিণ্ডে শিবিরে যোগ দেন। কিছু দিন আগে কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন শিব সেনায় যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিও।
বলে রাখা ভালো, অশোক চবনের বাবা শংকর রাও চহ্বানও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দলীয় সংগঠনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অশোক। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। লোকসভায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে মতান্তরের জেরেই অশোকের দলত্যাগ বলে মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় অঞ্চলে প্রভাবশালী ছিলেন অশোক। তিনি দল ছাড়ায় লোকসভার আগে কংগ্রেসের ক্ষতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।