সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ashoka University) প্রতিষ্ঠাতা প্রণব গুপ্ত, বিনীত গুপ্ত-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরোক্টোরেট (ED)। প্যারাবোলিক ড্রাগস মামলায় আর্থিক তছরুপের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল তাঁদের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাঁদের মালিকাধীন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা প্যারাবোলিক ড্রাগসের জাল নথি ব্যবহার করে একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে এক হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রণব ও বিনীত ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট এসকে বনসালকে। আদলতে তোলা হলে তিনজনের পাঁচ দিনের ইডি হেফাজত হয়েছে। প্রতারণার মামলায় গতকালই প্রণব ও বিনীতের সঙ্গে সম্পর্কিত মুম্বই ও দিল্লির ১৭টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডির গোয়েন্দারা। এর পরই গ্রেপ্তার করা হল তাঁদের। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রতারণার অভিযোগে প্রণব ও বিনীত-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। একই মামলায় তৎপর হল ইডি।
[আরও পড়ুন: ‘কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে আর্জি অধীরের]
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গতকালই একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্যারাবোলিক ড্রাগসের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনওরকম সম্পর্ক নেই। ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে জরানো হলে তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর হবে। আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বমোট প্রতিষ্ঠাতার সংখ্যা ২০০। তাঁদের মধ্যে প্রণব গুপ্ত এবং বিনীত গুপ্তও রয়েছেন। এই অবধি।
[আরও পড়ুন: গুঁড়িয়ে গিয়েছে চুংথাং, পর্যটকদের ‘স্বপ্নের শহর’এখন যেন ‘মৃত্যুপুরী’!]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের গবেষণাপত্র গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে ছিল কারচুপি। যা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতণ্ডা শুরু হয়েছিল। ঘরে বাইরে চাপে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দেন বাঙালি অধ্যাপক।