সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাকাত সন্দেহে কৃষককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) পুলিশের বিরুদ্ধে। অসমের (Assam) রাওতা এলাকায় ঘটনা। এই সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিআইডি তদন্তেই জানা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। যদিও সাফাই দিতে নিজেদের মতো করে যুক্তি সাজাচ্ছে পুলিশ।
অসম পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধী কেনারাম বোরো। নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড-এর প্রাক্তন সদস্য কেনারাম। অসম এবং মেঘালয়ে ডাকাতি-সহ একাধিক অপরাধের মামলায় ‘ওয়ান্টেড’। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রাওতা এলাকার ধানসিঁড়িখুঁটি গ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। পুলিশের দাবি করে ওই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে অসমের ‘কুখ্যাত অপরাধী’র। এমনকী কেনারামের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ। সেই দেহের সৎকারও হয়। যদিও এর পর অন্যদিকে বাঁক নেয় ঘটনা। জানা যায় মৃত ব্যক্তি আদৌ কেনারাম বোরো নন, বরং দিম্বেশ্বর মুছাহারি।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্য নয়, সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিয়ের বিরোধিতা কেন্দ্রের]
দিম্বেশ্বরের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, পুলিশের গুলিতে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি ডাকাত নন, মুছাহারি পরিবারের ছেলে। পেশায় প্রান্তিক চাষি। এরপরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সরব হয় সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধী দলগুলি। এমন পরিস্থিতিতে গত ২ মার্চ বিভ্রান্তি কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসতেই মুখ পোড়ে পুলিশের। সেখানে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তিকে ডাকাত সন্দেহে গুলি করা হয়েছিল, তিনি একজন কৃষক। যদিও এর পরে সাফাই দিতে অন্য যুক্তি সাজিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিমানে বসেই ধূমপান! বাধা দেওয়ায় কর্মীদের সঙ্গে বচসা যাত্রীর, তারপর…]
হিমন্তের পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তি কেনারাম নয় বটে, তবে এই মুছাহারিও একজন ‘কুখ্যাত অপরাধী’। মুছাহারি ওরফে গোবলাকে এর আগেও অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও মুছাহারির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল অব্যাহত।