সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) নাইট ক্লাবে ভয়াবহ গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত অন্তত ১৯। ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির ওয়েস্ট পাপুআ প্রদেশে সরঙ্গ শহরের ‘ডাবল ও’ নামের একটি নাইট ক্লাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মেজাজ হারালেন বাইডেন, সাংবাদিককে জনসমক্ষেই কুৎসিত গালাগালি দিয়ে বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট!]
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সরঙ্গ শহরের পুলিশপ্রধান আরি নিয়ত সেতিওয়ান বলেন, “সোমবার রাত ১১টা নাগাদ নাইট ক্লাবে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল তার আগের শনিবার থেকেই। দুই দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির দরুণ মারামারি বাঁধে। সংঘর্ষের পর ক্লাবে আগুন ধরে যায়। আমরা অনেককেই নিরাপদে বের করে আনতে সক্ষম হই। তবে আজ সকালে দমকল কর্মীরা আগুন নেভালে পর বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”এই ঘটনা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া পুলিশের মুখপাত্র আহমেদ রামাধান জানিয়েছেন, দা, তির-ধনুক নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে দুই গোষ্ঠী। ধারাল অস্ত্রের কোপে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে, মোট ১৯ জন মানুষ ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
বলে রাখা ভাল, ইন্দোনেশিয়ার প্রবাল সমৃদ্ধ রাজা আমপাত দ্বীপের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সরঙ্গ শহর। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহরটিতে রয়েছে একটি বন্দরও। তুলনামূলকভাবে, সন্ত্রাস জর্জরিত ওয়েস্ট পাপুয়ার অন্যান্য জায়গার তুলনায় সরঙ্গ অনেকটাই শান্ত। এহেন শহরে ভয়াবহ সংঘর্ষে রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেশটির নিরাপত্তামহল।
উল্লেখ্য, ওলন্দাজ উপনিবেশকারীদের ঘাঁটি ধাতু সমৃদ্ধ পাপুয়া ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু তার দু’বছর পরই প্রদেশটি দখল করে ইন্দোনেশিয়া। মূলত খ্রিস্টান সংখ্যাগুরু অঞ্চলটিতে তারপর থেকেই জ্বলে ওঠে বিদ্রোহের আগুন। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের। এহেন পরিস্থিতিতে নাইট ক্লাবের সংঘর্ষ ঘিরে আবারও হিংসার আগুন জ্বলে উঠার সম্ভাবনা বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।