দীপক পাত্র: একদিকে প্রতিশোধ, অন্যদিকে তীরে এসে তরী ডুবে যাওয়ার ঘটনার সাক্ষী থাকা। তাই শনিবার কি তিনি মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটাতে পারবেন? তিনি বলতে রয় কৃষ্ণ। মুম্বইয়ের কাছে দু’টো ম্যাচ হেরে গিয়ে পুরো দলের মধ্যে তীব্র প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে। যা স্বাভাবিক। তাই মুম্বইকে (Mumbai City FC) হারাতে ফাইনালে সকলের সঙ্গে ফিজিয়ান স্ট্রাইকারও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবেন। তবে রয় কৃষ্ণের (Roy Krishna) সামনে এবার সোনার বুট জেতারও কিন্তু সুযোগ রয়েছে।
এবার তিনি ১৪ গোল করার সদস্য। ইগর অ্যাঙ্গুলোও একই সংখ্যক গোল করেছেন। তাই একটা গোল করলেই এবার তাঁর ঝুলিতে ঢুকে যাবে গোল্ডেন বুট। তবে রয় কৃষ্ণ জানিয়ে দিলেন, তাঁর কাছে সোনার বুটের চেয়ে বেশি দামী ISL চ্যাম্পিয়ন হওয়া। “প্রথম দিন থেকেই আমি দলের কথা ভেবেছি। যদি সোনার বুট পাই তাহলে সেটা হবে আমার কাছে বোনাস। কিন্তু আমার লক্ষ্য থাকবে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে মাঠ ছাড়া,” বলে দিয়েছেন কৃষ্ণ। তিনি শুধু এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun bagan) গোলদাতা নন, গোলের রাস্তা তৈরি করার অন্যতম কারিগরও। এবার ১৪টা গোল করার সঙ্গে সাতটা গোল করতে সাহায্য করেছেন।
[আরও পড়ুন: সেই পুরনো চেনা ছন্দ, চেন্নাইয়ের নেটে একের পর এক ছক্কা ধোনির, দেখুন ভিডিও]
ফাইনালে লে ফন্দ্রে-রয় কৃষ্ণ, নাকি আহমেদ জাহু-কার্ল ম্যাকিউ, নাকি অরিন্দম ভট্টাচার্য বনাম অমরিন্দর সিং, কার সঙ্গে কার লড়াই হবে তা নিয়ে অঙ্কের শেষ নেই। ১১টা গোল দিয়ে লে ফন্দ্রে মুম্বই সিটির সর্বোচ্চ গোলদাতা। আবার জাহু (১৪১৩) যদি মুম্বইয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি পাস বাড়িয়ে থাকেন তাহলে কার্ল ম্যাকিউ (৭৫৫) হলেন এটিকে মোহনবাগানের সেই সম্পদের অধিকারী। অরিন্দমের সঙ্গে অমরিন্দরের লড়াই তো গোল্ডেন গ্লাভসের জন্য।
মাঠের মধ্যে যদি এই দ্বৈরথ ক্রমাগত চলতে থাকে তাহলে বাইরে হবে আন্তনিও লোপেজ হাবাস বনাম সার্জিও লোবেরোর। দুই সেনাপতিও নায়ক হওয়ার দৌড়ে বিদ্যমান। হাবাস জিতলে তিনবার আইএসএল জিতবেন। অন্যদিকে লোবেরো পরপর দু’বার কোচিং করা দলকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন। যদি জেতেন তাহলে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের কোচও হয়ে যাবেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সদস্য বেশি রয়েছে এটিকে মোহনবাগানে। সুতরাং মনোবলের দিক দিয়ে বা অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে রয় কৃষ্ণদের এগিয়ে রাখতেই হবে। ফিজির স্ট্রাইকার তাই বলেছেন, “কোচ আমার কাছ থেকে যা চাইছেন তাই করব। দলে আমার একটা ভূমিকা রয়েছে। সেইদিকে নজর দিতে চাইছি। চাইছি ট্রফিটা হাতে তুলতে।”