সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ। এবার আঘাত এল সরস্বতী ঠাকুরের উপর। বাংলাদেশের উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরস্বতী প্রতিমা (Saraswati) ভাঙচুরের অভিযোগ মিলেছে। স্থানীয় ছাত্রাবাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী এই ন্যক্কারজনক কাজটি করেছে বলে অভিযোগ। তবে তা অস্বীকার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার রাত আটটা নাগাদ সদর উপজেলার বারঘরিয়া এলাকায় এই কাণ্ডটি ঘটে। স্থানীয় সনাতন ধর্মাম্বলীরা জানান, শনিবার রাত আটটার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এ সময় সাউন্ড বক্সে গান বাজানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ, লাবিব মেসের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় পাশের বাড়ির একটি সরস্বতী পুজোমণ্ডপে। ভেঙে দেওয়া হয় সরস্বতীর বাঁ হাতের কবজির অংশ।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের ডানা ছাঁটবে তৃণমূল? সায়নী ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা]
পরে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সনাতন ধর্মালম্বী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হামলা-পালটা হামলা (Clash) শুরু হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ পলিটেকনিক (Polytechnic) সাধারণ ছাত্র জোটের এক প্রেস বিজপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্ররা লেখাপড়া করার সময় গান বাজানোর সময় তাদের পড়াশোনোর ক্ষতি হচ্ছিল। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা ঘটে।
[আরও পড়ুন: ‘জমি চোর, চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই’, TMC অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোয় খোঁচা দিলীপের]
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি উল্লেখ করে অপরাধীদের খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান। তিনি আরও জানান, প্রশাসনের অনুরোধে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (OC) এ কে এম আলমগির জাহান জানান, প্রতিমার সামান্য ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সনাতন ধম্বাবলীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।