সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে সরকারে ক্ষমতাসীন দলের। যদিও দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দোষী সন্দেহে অনেককে ধরপাকড় করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে জানালেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতে, “গত কয়েক দিনের হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। দেশের শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাওয়া কিছু কায়েমী স্বার্থের মানুষ এই কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।’’ হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। আর শনিবারের পর থেকে নতুন করে কোনও হামলার ঘটনাও ঘটেনি সেদেশে। বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা করা চালিয়েছে? হামলার কারণই বা কী? জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘‘কী কারণে হামলা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ তার কোনও প্রমাণ এখনও সরকার পায়নি। প্রমাণ-সহ কারণ জানতে পারলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হবে। তবে কারণ যা-ই হোক না কেন দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’’
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দুর্গোৎসবে হামলার ঘটনায় সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নিয়ে চিন্তিত আওয়ামি লিগ]
উল্লেখ্য, গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রশাসন। এই হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এপার বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি লেখেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এসবের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে ইসকন মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা।
শুক্রবার অর্থাৎ বিজয়া দশমীর (Dashami) দিন নোয়াখালি জেলার ইসকন মন্দিরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। কোরান ‘অবমাননার’ অভিযোগে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানটিতে ভাঙচুর চলে। ইসকন মন্দিরের পরিকাঠামোর বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্থ দাস নামের মন্দিরের এক সদস্যকে খুন করে হামলাকারীরা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হামলার ঘটনাটি তুলে ধরছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষা ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছে তারা। তবে শনিবার দুপুরের দিকে রাষ্ট্রসংঘেও একটি চিঠি পাঠানো হয় ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে। আসলে এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইস্যু করতে চাইছে বাংলাদেশ (Bangladesh)।