ভারত: ২৫৫ (ধাওয়ান ৭৪, রাহুল ৪৭)
অস্ট্রেলিয়া: ২৫৫-০ (ওয়ার্নার ১২৮, ফিঞ্চ ১১০)
অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লজ্জা বললেও হয়তো কম বলা হবে। অস্ট্রলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ভারত যেভাবে হারল, এই হারের ছবি সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় ক্রিকেটে দেখা যায়নি। অজিদের জৌলুশে রীতিমতো বিধ্বস্ত এবং বিপর্যস্ত মেন-ইন-ব্লু। টিম ইন্ডিয়াকে হারতে হল ১০ উইকেটে। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলছিল ভারত। এই তিন দুর্বল দলকে হারাতে খুব একটা বেগও পেতে হয়নি। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার সামনে পড়েই যেন অন্য ভারতকে দেখা গেল। শক্ত গাঁটে দিশেহারা এবং লজ্জাজনক পারফরম্যান্স দিলেন বিরাট-বুমরাহরা।
[আরও পড়ুন: কামিন্সের বলে মাথায় আঘাত, পন্থের চোট নিয়ে আপডেট দিল বিসিসিআই]
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হতে চলেছে তা অবশ্য আগেই জানা ছিল। কিন্তু, তা বলে ভারতীয় ক্রিকেট দল এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করবে, তা হয়তো কেউ আন্দাজও করেনি। দিনের শুরুটাই হয়েছিল খারাপ দিয়ে। এদিন টস হেরে যাওয়ায় লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে থেকেই শুরু করে ভারত। টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। যাতে পরে শিশিরে বল করতে না হয়। ভারতের দল নির্বাচন নিয়েও কম প্রশ্ন ওঠেনি। নবদীপ সাইনির পরিবর্তে কেন শার্দূল ঠাকুর খেলছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নেটদুনিয়ায়। এবার আসা যাক ব্যাটিং অর্ডারে। বিশেষজ্ঞরা চিরদিনই বলেন, দলের সেরা ব্যাটসম্যানের ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামা উচিত। কিন্তু তিনজন ওপেনারকে সুযোগ দিতে গিয়ে, সেই কাজটি করলেন না বিরাট কোহলি। তিনি নিজে ৩ নম্বরে না নেমে, নামালেন লোকেশ রাহুলকে। আবার শ্রেয়স আইয়ার, যিনি এতদিন চার নম্বরে খেলছিলেন, তাঁকে নামতে হল পাঁচ নম্বরে। এসবের ফলে ধাক্কা খেতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। মাত্র ১৬৪ রানেই পাঁচ উইকেট খোয়াল টিম ইন্ডিয়া। সপ্তম উইকেটের যখন পতন ঘটল তখন ভারতের সংগ্রহ মাত্র ২১৭ রান। এরপর টেল-এন্ডাররা লড়াই না দিলে হয়তো চূড়ান্ত লজ্জায় পড়তে হত টিম ইন্ডিয়াকে। শেষপর্যন্ত ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৫৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শিখর ধাওয়ান। তাঁর সংগ্রহ ৭৪ রান।
[আরও পড়ুন: জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই সেলিব্রিটি রিচা! স্পনসরশিপের প্রস্তাব দিচ্ছে বহুজাতিক সংস্থাও]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার নতুন রেকর্ড গড়লেন। কোনও উইকেট না খুঁইয়েই নির্ধারিত ২৫৬ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন দুই অজি ওপেনার। একটি উইকেটও তুলতে পারলেন না ভারতের বিশ্বখ্যাত বোলাররা। ফিঞ্চ এবং ওয়ার্নার দুই ওপেনারই করলেন শতরান। ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রানের মালিক হলেন। একই সঙ্গে ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের জুটি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বকালের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওপেনিং জুটি হিসেবে রেকর্ড গড়ল।
The post শক্ত গাঁটে ধরাশায়ী বিরাটরা, ওয়ার্নার-ফিঞ্চের যুগলবন্দিতে লজ্জার হার ভারতের appeared first on Sangbad Pratidin.