সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুদিনের রাশিয়া সফর সেরে অস্ট্রিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৪১ বছর পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সেদেশের রাজধানী ভিয়েনায় পা রেখেছেন নমো। তার পরেই সেদেশের চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এর পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তাঁরা।
নেহামার বলেন, "ভারত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দেশ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তাই অস্ট্রিয়ার কাছে ভারতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব অপরিসীম।" অস্ট্রিয়া সফরের আগে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)। সেই বিষয়টি উত্থাপন করে নেহামার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে রাশিয়াকে কী বার্তা দিয়েছেন, সেটাও আমাদের পক্ষে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী শান্তি বজায় রাখা হোক, এটাই দুই দেশের কাছে কাম্য।"
[আরও পড়ুন: পুতিনের ‘রক্তচক্ষু’! রাজনীতিতে নামতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নাভালনির স্ত্রীর বিরুদ্ধে]
এই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকেই অস্ট্রিয়ার (Austria) সংস্থাগুলোকে ভারতে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানান মোদি। সেদেশের বেশ কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গে দেখা করেন মোদি এবং নেহামার। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, পরিকাঠামো, শক্তি-সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করতে পারে অস্ট্রীয় সংস্থাগুলো। হাত মেলাতে পারে ভারতীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গেও। শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নোবেলজয়ী অ্যান্টন জেইলিঙ্গারের সঙ্গেও দেখা করেন মোদি।
দুই দেশের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক এবং বিবৃতির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোত্রা। রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়া, দুই সফর নিয়েই তিনি কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারত সমস্ত রকম ভূমিকা পালন করতে তৈরি আছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, "আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা ভারতের তরফে বারবার দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠকে সর্বোতভাবে ভারত সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে কোনও সমাধান মিলবে না। যেভাবে যুদ্ধের কারণে প্রাণহানি হচ্ছে সেটাও বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।" যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিদেশ সচিব।