shono
Advertisement

‘ক্রিসমাসে চার্চে গেলেই বেধড়ক মার’, হিন্দুদের জন্য ফতোয়া দিল বজরং দল

মেঘালয়ে হিন্দু উপাসনালয় বন্ধের বদলা!
Posted: 09:58 AM Dec 06, 2020Updated: 12:11 PM Dec 06, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আর বোধহয় বড়দিন (Christmas) পালন করতে পারবেন না অসমের হিন্দুরা! বড়দিন বা ২৫ ডিসেম্বর চার্চে গেলে কিংবা ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে তাঁদের বেধড়ক মারধরের হুঁশিয়ারি দিল বজরং দল (Bajrang Dal)। এই ফতোয়ায় রীতিমতো সন্ত্রস্ত অসমের হিন্দু সম্প্রদায়।

Advertisement

ফতোয়া সম্পর্কে ওই ডানপন্থী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে মেঘালয়ের শিলংয়ে হিন্দুদের উপাসনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারই ‘বদলা’ নিতে অসম এই ফতোয়া জারি করল তাঁরা।

[আরও পড়ুন : দল ভাঙাতে মরিয়া অমিত শাহ, ফের রাজস্থানে সরকার ফেলার ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী]

গুয়াহাটির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠু নাথ জানিয়েছেন, খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল মেঘালয়ের শিলংয়ে বিবেকানন্দ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তাই তিনি চান না, অসমের কোনও হিন্দু ভিনধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দিক। উল্লেখ্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন হল বজরং দল। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই শিলচরে একটি অনুষ্ঠান থেকে এই ফতোয়া জারি করা হয়। সেখানে বজরং দলের অনুগামীরা হাজির ছিলেন। তাঁরাও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেন। মিঠু নাথ আরও জানান, “খ্রিস্টানদের উৎসব নিয়ে যারা মাতামাতি করে, তাদের দু’চক্ষে দেখতে পারি না। আমাদের মন্দির বন্ধ করে দেয় ওরা। বড়দিনে কোনও হিন্দুর গির্জায় (Church) যাওয়া চলবে না। তার পরেও যদি কেউ যায়, কপালে পিটুনি রয়েছে।”

গুয়াহাটির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠু নাথের আরও অভিযোগ, “ওঁরা আমাদের পুজো-অর্চনার স্থান অনায়াসে বন্ধ করে দিতে পারে। অথচ আমরা যদি এখানে ওরিয়েন্টাল স্কুল ভাঙচুর করি, পরের দিনই সংবাদপত্রে শিরোনাম করা হবে, গুন্ডারা স্কুলে ভাঙচুর করেছে। এটা আমরা করতে চাই না। তাই এবার হিন্দুদের ওঁদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেব না।”

[আরও পড়ুন : ১০ বছরে প্রথমবার, মোদির খাসতালুক বারাণসীর ২ বিধান পরিষদের আসনেই হার বিজেপির]

উল্লেখ্য, শিলংয়ে বড়দিন উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি অংশ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি তাতিয়ে তুলেছে বজরং দল এবং ভিএইচপি সমর্থকেরা। খ্রিস্টানদের উৎসবের জন্য হিন্দুদের আরাধনা বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে তারা।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement