সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোভিড-১৯ (COVID-19) পজিটিভ রোগীদের শনাক্তকরণের কাজ, মৃত্যুহার ওঠানামার মোকাবিলায় বাংলাদেশ
সরকার খুবই সতর্ক। তারই মধ্যে দেশে শুরু হবে টিকাকরণের (Corona vaccine) কাজ। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় এবার শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্স’। এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া হবে করোনার টিকা। এমনই খবর বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে।
জানা গিয়েছে, উপজেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট পাঁচটি কমিটির সমন্বয়ে গঠিত হবে এই টাস্ক ফোর্স। কোভিড-১৯’এর টিকা প্রয়োগে কোভ্যাক্স ও নন কোভ্যাক্স টিকার ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন নীতি। বাংলাদেশে করোনা টিকা সংরক্ষণ, বিতরণ, প্রয়োগ ও সমন্বয় সুষ্ঠুভাবে করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ করা নীতি এখন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। এই নীতি অনুযায়ী, সারা দেশে টিকা ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসা হবে ৫টি মূল কমিটির অধীনে। টাস্ক ফোর্সের মূল টিকাকরণের আয়োজনের কাজ চলবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিকা ব্যবস্থাপনার কার্যকরী কমিটির নেতৃত্বে।
[আরও পড়ুন: গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ, ভিডিও ভাইরালের হুমকি, অভিযোগে ধৃত আওয়ামি লিগের ২ নেতা]
কীভাবে চলবে টিকাকরণের কাজ? টিকার ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুত ও প্রয়োগের জন্য থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি মূল কমিটি। বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করবে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি। এভাবে পর্যায়ক্রমে জেলা সমন্বয় ও উপজেলা সমন্বয় কমিটি কাজ করবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে থাকবে ফিল্ড ওয়ার্কারদের নিয়ে গঠিত আরও একটি বিশেষ সেল ও একটি সমন্বয় কমিটি। এভাবে সকলকে সমন্বিত করে দেশজুড়ে সুষ্ঠুভাবে টিকাকরণের লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে টাস্ক ফোর্স। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হতে পারে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: সাজা শেষেও ফেরা হল না দেশে, বাংলাদেশের কারাগারে মৃত্যু ভারতীয়র]
বাংলাদেশকে করোনার ভ্যাকসিন দিচ্ছে ভারত (India)। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের (SII) প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’ পাঠানো হবে প্রতিবেশী দেশে। প্রাথমিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে কোভশিল্ডের দেড় কোটি ডোজ দেওয়া হবে বাংলাদেশকে। সেই মর্মে দু’দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। টিকা আমদানিতে ব্যাংক গ্যারান্টিও জমা দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া চিনের সিনোফার্মের টিকাও আমদানি করতে পারে হাসিনা প্রশাসন। যে প্রতিষেধকই দেশে আসুক না কেন, তার সুষ্ঠু প্রয়োগে টাস্ক ফোর্সের বড় ভূমিকা থাকবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।