সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত পৌনে চার বছরে অন্তত ৪৭ বার ভূমিকম্পে কেঁপেছে বাংলাদেশ। আর তাই বিশেষজ্ঞরা আগামিদিনে বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে কম্পনের (Earthquake) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থলের ২০টিই ছিল দেশের অভ্যন্তরে। বাকি ২৭টি সীমান্ত এলাকা-সহ আশপাশের দেশগুলি। আর সেই কারণেই আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্প হওয়ার ফলে আর্থ ফল্ট লাইনগুলো সক্রিয় রয়েছে। সেই কারণেই বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সুতরাং ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমানো যায়, তার জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্তরে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ভূমিকম্প-সহনশীল ভবন-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভূমিকম্প নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো, এর মোকাবিলায় কীভাবে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে, সে বিষয়েও অবগত করানো হচ্ছে। ভূমিকম্প হলে উদ্ধারকাজ, ত্রাণের কর্মসূচির পরিকল্পনাও থাকছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ শেখ হাসিনার]
হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৭বার কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশে। যার মধ্যে চলতি বছরই সবচেয়ে বেশিবার ভূমিকম্প হয়েছে। ৯ মাসে ২১ বার কেঁপেছে এ দেশ। শেষবার গত ৭ অক্টোবর রাত ১২টা ২৮ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে দেশ। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৬। জানা যায়, এর উৎসস্থল মায়ানমারের মানওয়া।
এক বিশেষজ্ঞের কথায়, গত তিন বছরে দেশে ভূমিকম্পের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। তবে গত ১০০ বছরে এখানে বড় রকমের ভূমিকম্প হয়নি। তবে ছোট ও মাঝারি ভূমিকম্পের ফলে শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। ফলে সামনে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। এদিকে, আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ঢাকা থেকে উত্তর-পূর্ব, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বেল্টে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি। কারণ এই দিক দিয়েই গিয়েছে প্লেট বাউন্ডারি লাইনটি। ৮০ শতাংশের বেশি কম্পন হয় প্লেট বাউন্ডারি লাইনগুলিতেই।