সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লঙ্কার ঝাঁজে যে আমজনতার চোখে জল আসবে তা আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি। গত দু’মাস পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলেও আপাতত কিছুটা দামে রাশ টানা গিয়েছে। এবার মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ‘লঙ্কা বাঁচাও’ অভিযানে নতুন ফর্মূালা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি লঙ্কা গুঁড়ো করে ও পেঁয়াজের কুচি রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকায় গণভবনে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব-সহ উপস্থিত অন্যান্য আধিকারিকদের লঙ্কাগুঁড়ো ও রোদে শুকানো পেঁয়াজের কুচির দু’টি করে প্যাকেট উপহার দেন শেখ হাসিনা। খরচ কমাতে এটি ভাল পন্থা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্ষণে জল জমে লঙ্কার ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর এতে জোগান কমে গিয়ে প্রভাব পড়ে বাজারদরে।” পরে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করে প্রতিমন্ত্রী পলক লেখেন, ‘ভাবুন তো, রান্নার সময় তরকারিতে দিচ্ছেন কাঁচালঙ্কার গুঁড়ো কিংবা শুকনো পেঁয়াজের কুচি একটু ভিজিয়ে রান্নায় ব্যবহার করছেন প্রয়োজনমত! পচনশীল এই দু’টি সবজি সময়মত সংরক্ষণ করে এভাবেও ব্যবহার করা সম্ভব! পথ দেখালেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। কেননা বর্ষাকালে পিঁয়াজ ও কাঁচলঙ্কার দাম বেড়ে যায়। আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখা কাঁচালঙ্কার গুঁড়ো ও শুকানো পিঁয়াজ কাজে লাগবে। খরচ হবে না বাড়তি টাকা। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এমন হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন বাড়ির গৃহিনীরা।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা একইভাবে টমেটো সংরক্ষণেরও পরামর্শ দেন।
[আরও পড়ুন: নজরে ‘ভোটসন্ত্রাস’ ও ‘মানবাধিকার’, মার্কিন সাঁড়াশি চাপে বাংলাদেশ]
শেখ হাসিনা বলেন, “যখন বেশি ফলন হয় তখন টমেটো ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে পরে ব্যবহারের জন্য রেখে দেওয়া যায়।” আধুনিক মেশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করে এগুলো মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই লঙ্কার দামে চোখে জল চলে এসেছিল সাধারণের। বাংলাদেশে প্রতি কেজি লঙ্কা বিক্রি হয়েছে হাজার থেকে বারোশো টাকায়। তবে লঙ্কার ঝাঁজ কিছুটা কমলে এবার বাজার কাঁপাচ্ছে ডিম ও ডাব। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা প্রতি পিস দরে। এক হালি (৪টি) বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেও ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। এছাড়া, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে।