সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। গতকালই দুই শতাধিক প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। যদিও অস্বস্তিতে পড়লেন বিএনপির চার প্রার্থী। বন্দরনগর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় সহিংসতা ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিএনপির ওই চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর।
বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে সোমবার ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলীয় সূত্র খবর, নানা কারণে ৬৩ আসনের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন কি না তা নিয়ে শংসয় তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপি এগিয়ে বলেই অধিকাংশের অভিমত। যেহেতু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এর আগে তিনবার দলটি সরকার গঠন করেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন খালেদা। তবে জামাতকেও হেলাফেলা করা যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে কোন অনৈক্য নেই। তদুপরি সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তাক লাগিয়ে জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি শিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে।
এদিকে জানা গিয়েছে, রাজধানী ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারা। পাশেই ঢাকা সেনানিবাস, মহাখালী ও ভাসানটেক। এসব এলাকা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ঢাকা-১৭। মর্যাদাপূর্ণ এই আসনটি বিএনপি ছেড়ে দিতে পারে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থকে। বিএনপির বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীও মাঠে রয়েছে। অন্যদিকে জামাতের এসএম খালিদুজ্জামান আলোচনায়। তাঁদের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।
এদিকে সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারিকে প্রধান করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদের নব গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার রাত ৪টে নাগাদ দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এই কমিটির কথা ঘোষণা করেন। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
গুলশান আসনে জনপ্রতিনিধি কে হবেন তা নিয়ে সব সময় চলে ভিন্ন আলোচনা। জামাত ছাড়া কোনও দলই এখনেও মনোনয়ন চূড়ান্ত করেনি আসনটিতে। বিএনপির বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছোট কয়েকটি দলও আছে প্রচারণায়। তবে রাজনীতির পরিচিত মুখ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ আলো কাড়ছেন বেশি। এই আসনে ভোটার তিন লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫।
আসনটিতে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামি লিগের মহম্মদ এ আরাফাত। দায়িত্ব পান তথ্য প্রতি মন্ত্রীর। বিএনপি ও জামাত ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০০৮ সালে এ আসনের এমপি ছিলেন রাষ্ট্রপতি-সাবেক সেনা প্রধান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
