shono
Advertisement
Abu Sayeed

'অন্তরটা ঠান্ডা হইল...', হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খুশি আবু সাইদের বাবা, দ্রুত সাজার দাবি পরিবারের

পুলিশের রবার বুলেটের সামনে বুক পেতে দাঁড়ান শহিদ আবু সাইদ।
Published By: Kishore GhoshPosted: 08:59 PM Nov 17, 2025Updated: 01:17 PM Nov 18, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সেদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণার পরে হাততালিতে ফেটে পড়েছিল আদালতকক্ষ। কোর্ট চত্বরেও উল্লাস দেখা যায়। হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় খুশি কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘শহিদ’ আবু সাইদের পরিবারও। পুত্রহারা মকবুল হোসেনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, "অন্তরটা ঠান্ডা হইল।"

Advertisement

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। এই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রথম শহিদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সাইদ। ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের রবার বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান তিনি। ওই রবার বুলেটের আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন সাইদ।

বাংলাদেশে একটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়া এলাকায় এদিন ছিল খুশির হাওয়া। এখানেই যে বাড়ি আবু সাইদের। শহিদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, আমি খুশি হয়েছি। ভারত থেকে এনে অতি দ্রুত বাংলাদেশের মাটিতে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। সাইদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে নেই... খারাপ লাগছে। ফাঁসির রায় যেন কার্যকর হয়।

প্রসঙ্গত, এদিন শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের আইনে দোষী সাব্যস্ত হন শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং প্রাক্তন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁদের। এক, উসকানি দেওয়া। দুই, হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। এরপরই হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ে আদালতকক্ষ। বিচারপতি সকলকে শান্ত হতে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। অপর অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুনকে ক্ষমা প্রদর্শন করে মাত্র পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি রাজসাক্ষী হন। বলা বাহুল্য, ‘বিশ্বাসঘাতক’ মামুন পালটি খেয়ে হাসিনার কফিনে অন্তিম পেরেক ঠোকেন। 

যদিও এই রায়কে মানছেন না শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল। ফাঁসির সাজা ঘোষণা হতেই সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি মৌলবাদী এবং অনির্বাচিত সরকারের রায় অর্থহীন। এদের সাজা দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই। মানুষকে বোকা বানাতে নাটক চলছে। বাংলাদেশের ইতিহাস পালটে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে পারবেন হাসিনা কিংবা তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্যা হল হাসিনা যদি তা করেন, তবে ইউনুসের বাংলাদেশের ট্রাইবুনালকে মান্যতা দেওয়া হবে। শুরু থেকে যার বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে।
  • যদিও এই রায়কে মানছেন না শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল।
Advertisement