সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে বড়সড় ঘোষণা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের! সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina)। তারপরেই বাংলাদেশ সরকারের তরফে বিবৃতিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, হাসিনার কোনও বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। খবরের কাগজ থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট, সকলকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের তরফে।
সোমবার বাংলাদেশের ন্যাশনাল সাইবার সিকিয়োরিটি এজেন্সির তরফে বিবৃতি জারি করা হয় হাসিনার সাজা ঘোষণার পরেই। সেখানে বলা হয়, 'হাসিনার মন্তব্যে হিংসা, অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং অব্যবস্থা বাড়বে। বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দোষী সাব্যস্ত হওয়া পলাতক হাসিনার কোনও মন্তব্য সম্প্রচার করা যাবে না। দেশের সুরক্ষার স্বার্থে সংবাদমাধ্যম যেন দায়িত্ব সহকারে কাজ করে, আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া পলাতক ব্যক্তিত্বের মতামত প্রকাশ করার অর্থ সাইবার আইন লঙ্ঘন করা। এই আইনের বলে যেকোনও কন্টেন্ট সরিয়ে দেওয়া বা মুছে ফেলতে পারে সরকার। ঘৃণা ছড়ানো বা সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার দোহাই দিয়ে হাসিনা সংক্রান্ত সমস্ত খবর মুছে ফেলা যাবে। শুধু তাই নয়, ২ বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। সোজা কথায়, হাসিনার মন্তব্য প্রকাশ করলে ব্যাপক সাজা ভুগতে হবে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে।
উল্লেখ্য, সোমবার শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের আইনে দোষী সাব্যস্ত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং প্রাক্তন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁদের। এক, উসকানি দেওয়া। দুই, হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। এরপরই হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এবার তাঁর কণ্ঠরোধ করতে চেয়ে নতুন 'দমননীতি' নিল মহম্মদ ইউনুস সরকার।
