সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণহত্যা মামলায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আদালত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এইসঙ্গে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি ক্রোক করে তা দিয়েই নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। এবার ঢাকায় প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঢাকার এক আদালত। এই মামলায় হাসিনার পাশাপাশি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলও। জেল ও জরিমানার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি নিয়ে তিন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার একটি আদালত তিনটি মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হাসিনাকে। একই মামলায় হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। অন্য একটি মামলায় হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭। তবে ব্যক্তি হিসাবে এই সংখ্যা ২৩। হাসিনা, জয়, পুতুল ছাড়া বাকিরা হাসিনার শাসনকালের মন্ত্রী এবং আমলা। যেমন, প্রাক্তন গৃহ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সহকারী সচিব পূরবী গোলদার প্রমুখ।
জুলাই অভ্যুত্থানে দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। গুরুতর মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতাবিরোধী অপরাধ, আয়নাঘর সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি। এছাড়াও হাসিনা তথ্য গোপন করে কর ফাঁকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে।
গত ১৭ নভেম্বর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইবুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হাসিনাকে। যদিও আওয়ামি লিগ আগেই জানিয়েছে, জামাত প্রভাবিত ‘ক্যাঙারু আদালতে’ বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায় বিচার হতে পারে না।
