shono
Advertisement
Sheikh Hasina

'দালান ভেঙেছে, ইতিহাস মুছতে পারবে না', দিল্লি থেকে 'বেইমান' ইউনুসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

বুধবার রাত থেকে বাংলদেশে শুরু হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ, গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুজিবের ধানমন্ডির বাড়ি।
Published By: Kishore GhoshPosted: 10:26 AM Feb 06, 2025Updated: 05:38 PM Feb 06, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির ইতিহাস মুছে ফেলতে তৎপর বাংলাদেশের ‘বিপ্লবী ছাত্র’ দল। বুধবার রাত থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি, জেলায় জেলায় ভাঙা হচ্ছে মুজিবের মূর্তি-সহ যাবতীয় স্মৃতি। এমনকী হাসিনার বাসভবনে সুধা সদনেও আগুন দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। এদিকে বুধবারই ছিল আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের ছয় মাস। এদিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ফের মুখ খোলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ৫৮ মিনিটের ভাষণে হাসিনার গর্জন, “ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়, বঙ্গবন্ধু হৃদয়ে। দালান ভাঙলেও ইতিহাস মুছতে পারবে না।"

Advertisement

দিল্লি থেকে ভিডিও বার্তায় 'বেইমান' ইউনুসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, "লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি— তা কয়েক জন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারে না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীন মনের পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা এবং পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”

দেশবাসীকে হাসিনা মনে করিয়ে দেন, "ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটি তারা লুঠপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।" কার্যত পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে আজকের জামাত পরিচালিত ইউনুস সরকারের তুলনা টানেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামি লিগ নেত্রী বলেন, “আমার মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটির প্রতিটি ইট নিজের হাতে গেঁথেছিলেন।” প্রশ্ন তোলেন, "বাংলাদেশ থেকে কি রাজনীতিকে মুছে ফেলতে চাইছেন ইউনুস? তিনি কি তালিবনি কায়দায় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান?"

বর্তমানে বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, একথা বলেও হাসিনা দাবি করেন, হানাদারদের ইচ্ছে সফল হবে না। তিনি বলেন, "দেশের মানুষের কাছে বিচার চাই।" হাসিনার কথায়, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরম ভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।” বাংলাদেশে কোণঠাসা আওয়ামি সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসকে আক্রমণ করেন হাসিনা। বলেন, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬০০০ টাকার বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনুসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে।”

ছাত্র সমাজের প্রতি যে তাঁর কোনও রাগ বা অভিযোগ নেই, সেই বার্তাও দিয়েছেন আওয়ামি নেত্রী। হাসিনা বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আমাদের কোনও রাগও নেই, অভিযোগও নেই। আমি জানি তোমাদের বয়সটাই এই রকম।” তাঁর পরামর্শ, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের এ সবের থেকে দূরে থাকা উচিত। তারা যেন এই ধ্বংসযজ্ঞে অংশ না নেয়।” তিনি দাবি করেন, ব্যাপক উসকানির পরেও এই গোলমালের মধ্যে সব ছাত্র প্রবেশ করেনি। এটাই আশর কথা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দিল্লি থেকে ভিডিও বার্তায় 'বেইমান' ইউনুসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসিনা।
  • ছাত্র সমাজের প্রতি যে তাঁর কোনও রাগ বা অভিযোগ নেই, সেই বার্তাও দিয়েছেন আওয়ামি নেত্রী।
Advertisement