সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুস জমানায় বাংলাদেশ পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে চলে গিয়েছে। ভারতকে সতর্ক করে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। পাশাপাশি, মাকে 'আশ্রয়' দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাসিনাকে হত্যা করতে চক্রান্ত করছিল জঙ্গিরা। কঠিন সময়ে ভারতই তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, "জঙ্গিরা মা'কে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল বাংলাদেশে। যদি তিনি দেশ ছেড়ে না পালাতেন তাহলে তাঁর মৃত্যু হত। এই কঠিন সময়ে ভারত তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছে।" নয়াদিল্লিতে সতর্ক করে তিনি বলেন, "ইউনুসের জমানায় লস্কর জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অবাধে সেদেশের মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।" জুলাই বিক্ষোভের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, "এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র ছিল।"
জুলাই অভ্যুত্থানে দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে ইউনুসের বাংলাদেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। গুরুতর মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতা-বিরোধী অপরাধ, আয়নাঘর সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি। গত সোমবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইবুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হাসিনাকে। তবে মায়ের এই সাজাকে 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' বলে আখ্য়া দিয়েছেন জয়। তাঁর কাথায়, "বিচারের আগেই ১৭ জন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সংসদের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে আইন সংশোধন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মায়ের আইনজীবীদের আদালতের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল।"
ট্রাইবুনালের এই রায়কে মানেননি খোদ হাসিনা এবং তাঁর দলও। ফাঁসির সাজা ঘোষণা হতেই সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি মৌলবাদী এবং অনির্বাচিত সরকারের রায় অর্থহীন। এদের সাজা দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই। মানুষকে বোকা বানাতে নাটক চলছে। বাংলাদেশের ইতিহাস পালটে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে পারবেন হাসিনা কিংবা তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্যা হল হাসিনা যদি তা করেন, তবে ইউনুসের ট্রাইবুনালকে মান্যতা দেওয়া হবে। শুরু থেকে যার বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল।
