সুকুমার সরকার ঢাকা: একের পর এক মামলায় সাজা ঘোষনা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)। গণহত্যা মামলায় আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়েছিল। এরপরে বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জমি দুর্নীতি মামলায় সাজা শোনায় আদালত। এর মাঝেই ফের বিপাকে হাসিনা। এবার, হাসিনার আইনজীবী হতে অস্বীকার করলেন জেডআই খান পান্না। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেন তিনি। যদিও, সরকার তাঁকে হাসিনার হয়ে মামলা লড়ার জন্য নিয়োগ করলেও তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি হওয়া অথবা হুমকির মত ঘটনা ঘটেছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পক্ষে মামলা লড়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয় আইনজীবী জেডআই খান পান্নাকে। তিনি মামলায় হাজির না হওয়ায় তাকে তলব করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যদিও তলব করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হন তিনি। বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেলে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। বিচার চলাকালীন আইনজীবী জেডআই খান পান্নাকে ফোন করে আসতে বলে ট্রাইব্যুনাল। ১০ মিনিটের মধ্যেই হুইলচেয়ারে করে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে আসেন পান্না।
শুনানি থামিয়ে পান্নার বক্তব্য শোনে ট্রাইব্যুনাল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে। পাশাপাশি, তাঁকে প্রশ্ন করা হয় হাসিনার হয়ে মামলা লড়তে বলা হলেও তিনি কেন আসেননি। পান্না বলেন, "আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে এই মামলায় না দাঁড়ানোর জন্য আমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।" ট্রাইব্যুনাল জানায়, পান্না নিজে আগ্রহ দেখানোয় তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাই তিনি কাজ করতে না চিয়ালে তা ট্রাইব্যুনালে এসে বলতে হবে। এর পাশাপাশহি, পান্না ভিডিওবার্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। বার্তায় পান্না বলেন শেখ হাসিনা এই আদালত মানেন না এবং সেই কারণে তিনিও মানেন না। এই প্রশ্নের উত্তরে, তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন।
পান্না মামলা লড়তে পারবেন না জানিয়ে দেওয়ায় তাঁর কাছ থেকে সহায়তা এবং নতুন আইনজীবীর নাম জানতে চায় ট্রাইবুনাল। পরবর্তীকালে মহম্মদ আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তিনি এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে লড়েছেন। গত ২৩ নভেম্বর নির্যাতন মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানির জন্য বুধবারকে দিন ধার্য করা হয়। সেই দিনই হাসিনার পক্ষে লড়ার আবেদন করেন পান্না।
