সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সেদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তারপরই কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। শোনা যাচ্ছে, রায় ঘোষণার পরই ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরপর ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বাসে। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। হিংসা থামাতে ইতিমধ্যেই দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন।
রায় ঘোষণার আগে রবিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল ঢাকা। ঢাকার তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে এবং আমতলি মোড় এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। একাধিক বাস এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। এরপর সোমবার রায় ঘোষণার পর আরও খারাপ হল পরিস্থিতি। এদিন দুপুরে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে একদল জনতা। এমনকী তাঁর বাড়ি ভাঙতে নিয়ে যাওয়া হয় বুলডোজারও। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ফাটায় পুলিশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। গুরুতর মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতাবিরোধী অপরাধ, আয়নাঘর সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি। এদিন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হাসিনাকে। যদিও আওয়ামি লিগ আগেই জানিয়েছে, জামাত প্রভাবিত ‘ক্যাঙারু আদলতে’ বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায় বিচার হতে পারে না।
