সুকুমার সরকার, ঢাকা: সে এক অন্যরকম অনুভূতি। পদ্মা সেতু নিয়ে আবেগে ভাসছেন বাংলাদেশবাসী (Bangladesh)। তাঁর সিংহভাগ কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দেশবাসীর ভালবাসায় ভাসছেন তিনি। সেই ছোটবেলায় বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মা ফজিলাতুন্নেসার হাত ধরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে লঞ্চে চেপে ভয়ংকর পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসা করতেন। এখন তা উধাও। মাত্র সাত মিনিটে তীব্র খরস্রোতা পদ্মা পাড়ি। যেন স্বপ্নের মতো। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু (Padma Setu) উদ্বোধনের পর আজ সোমবার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকার গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টা ৪৮ মিনিটে মাওয়া টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে ওঠেন সেতুতে। সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে সন্তানদের নিয়ে কিছুটা সময় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেন শেখ হাসিনা। মনটা আনন্দে ভরে যায় তাঁর।
[আরও পড়ুন: বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার]
বিশ্ব ব্যাংক (World Bank) পদ্মাসেতু তৈরির টাকা দেওয়ার কথা বললেও সেই কথা না রেখে সরে যায়। শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানান, নিজ অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন এবং তা করেও দেখান। মানুষের প্রয়োজনে বিশাল খরস্রোতা পদ্মাকে বাগে এনেছেন সেতু নির্মাণ করেন। তাই সেই স্বপ্নের মুহূর্তের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (Facebook) পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেই।
[আরও পড়ুন: আর্তনাদেও গলল না মন, জমি বিবাদে আদিবাসী মহিলার গায়ে আগুন, ভিডিও করল ৩ দুষ্কৃতী]
সজীব ওয়াজেদ নামের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজ থেকে সোমবার ১২টা ২৬ মিনিটে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে মা শেখ হাসিনা ও বোন পুতুলকে ধরে রেখেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবিতে তিনজনকেই হাস্যোজ্জ্বল মুখে দেখা গেছে। আর ছবির ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে – ‘পদ্মা ব্রিজ’। সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ তিনি জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে যান এবং সেখানে ফলকের সামনে কিছু সময় দাঁড়ান। এরপর বিশ্রাম নেন জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ এ। উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতু দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় এটিই শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রথম সফর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।