সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণহত্যা মামলায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আদালত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এবার আরও এক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে রায় ও সাজা ঘোষণা হতে চলেছে। আগামী ১ ডিসেম্বর দুর্নীতি মামলায় হাসিনা, তাঁর বোন রেহানা ও বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিক-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে ঢাকার বিশেষ আদালত। এর মধ্যে টিউলিপ আবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে নির্বাচিত সদস্য। বাংলাদেশের আইনজ্ঞ মহলের মতে, এই মামলায় দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
রেহানা ও টিউলিপ।
তাঁর শাসন আমলে একাধিক দুর্নীতি, অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মুজিবকন্যা হাসিনার। তার মধ্যে অন্যতম জমি দুর্নীতি। এনিয়ে মামলা শুরু হয়েছিল ঢাকার বিশেষ আদালত। অভিযোগ ওঠে, মায়ের নামে প্লটের দাবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করেন হাসিনাকন্যা টিউলিপ সিদ্দিক। নিজে প্লট না নিলেও ওই প্রভাব খাটানোর কারণে টিউলিপ মামলার অন্যতম আসামি। আরও অভিযোগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের বোন শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
মোট ৩২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, অবৈধ নির্দেশনামা ও ভুয়ো হলফনামা-সহ বিভিন্ন প্রমাণ আদালতে পেশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাক্ষ্য অনুযায়ী, পূর্বাচলে পরিবারের জন্য প্লট বরাদ্দের বিষয়ে শেখ রেহানা নিজেই চাপ প্রয়োগ করেন। পরে মিথ্যা হলফনামার ভিত্তিতে রেহানাকে রাজউকের ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি, রাজউকের প্রাক্তন কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ পালনে বাধ্য ছিলেন। সাক্ষ্য, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক-সহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। তাঁদের বিরুদ্ধেই আগামী ১ ডিসেম্বর সাজা ঘোষণা করা হবে। দুদকের আইনজীবীদের মতে,
