সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনা ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন ভারতে বসে। বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের প্ররোচনাও দিয়ে যাচ্ছেন লাগাতার। ভারতই তাঁকে এই সুযোগ করে দিচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাকে তলব করল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই নিয়ে পাঁচ বার তলব করা হল ভারতীয় হাইকমিশনারকে। এ বার হাসিনা ছাড়াও হাইকমিশনারকে তলবের আরও একটি কারণ রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির উপর গুলি-হামলা চলেছে গত শুক্রবার। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তদন্তকারীদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। যদি তাই হয়, ভারত যাতে তাদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে, তার আর্জি জানানো হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারত চলে এসেছিলেন। পরে গণহত্যার মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার পর থেকেই নয়াদিল্লির কাছে হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে ঢাকা। কিন্তু নয়াদিল্লি তাতে সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। হাসিনাও তা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, ভারতে বসে হাসিনা যে ভাবে তাঁর সমর্থকদের নানা সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে নিয়মিত উসকানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন, তা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। আসন্ন নির্বাচনের আগে এ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। তাই এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এই ব্যক্তিরা আসন্ন নির্বাচন বানচাল করতে চাইছেন। এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে ভারতের অবিলম্বে পদক্ষেপ কাম্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষায় নয়াদিল্লির দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।’’
