সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে (Khaleda Zia) রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে বলে মেডিক্যাল বোর্ড সূত্রে খবর। তাঁর দিকে চব্বিশ ঘণ্টা নজর রেখেছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা।
মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। কার্ডিওলজিস্ট শাহবুদ্দিন তালুকদার জানান, আচমকাই তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। তার ফলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তাতেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। তাই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ডায়াবেটিস, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জটিলতা রয়েছে। ক্রমশ সমস্যা বাড়ছে বলেই খবর। মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিদিন ডায়ালিসিসের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কখনও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। আবার কখনও দিচ্ছে না। সবমিলিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যে বেশ জটিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর দিকে চব্বিশ ঘণ্টা নজর রেখেছেন মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা চিকিৎসকরা। দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করছেন তাঁরা।
দীর্ঘদিন ধরে অশীতিপর বিএনপি নেত্রী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছিল। যদিও এই বিষয়ে বিএনপি বা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে কাতার এয়ারওয়েজের তরফে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার কথা হয়েছিল। সেই উদ্যোগ শুরু হওয়ার পরেও নেত্রীর পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাই আপাতত সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান প্রতিদিনই ঢাকার ওই হাসপাতালে যাতায়াত করছেন এবং চিকিৎসার তদারকি করছেন বলে জানা গিয়েছে।
