সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফেরাতে এবার ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে মহম্মদ ইউনুস সরকার। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির উপর চাপ বাড়াতেই নয়া এই কৌশল ইউনুসের।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সরকারি আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম বলেন, “দোষী সাব্যস্ত দু’জনেই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির জন্য ট্রাইবুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা-সহ ইন্টারপোলে ইতিমধ্যেই একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এবার আমরা সাজার ভিত্তিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে নতুন একটি রেড নোটিস জারির আবেদন জানাবো।" প্রসঙ্গত, সোমবার রায় ঘোষণার পরই সেদেশের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে চিঠি পাঠাতে চলেছে তারা। এবার নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়াতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে ইউনুস সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ইন্টারপোলের সদস্য। যদি সংস্থাটি তাঁদের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে তাহলে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
জুলাই অভ্যুত্থানে দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। গুরুতর মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতাবিরোধী অপরাধ, আয়নাঘর সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি। সোমবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইবুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় দু'জনকে। যদিও আওয়ামি লিগ আগেই জানিয়েছে, জামাত প্রভাবিত ‘ক্যাঙারু আদলতে’ বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায় বিচার হতে পারে না।
