সুকুমার সরকার, ঢাকা: পিঁয়াজ, রসুন, চিনি-সহ একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানির (Import) তালিকা ভারতকে দিতে চায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। বৃহস্পতিবার ঢাকার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা। সেই সাক্ষাত পর্বেই একথা বলেন টিটু। এই বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রকের বর্ষীয়ান সচিব তপনকান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের (India) মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেন। আগামী মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত একটি মেগা শো-এ বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি। একইসঙ্গে উভয় দেশের পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ভারতে বেস্ট অব বাংলাদেশ প্রোডাক্ট এবং বাংলাদেশে বেস্ট অব ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট শো আয়োজনের পরামর্শও দেন প্রণয় বর্মা। বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
[আরও পড়ুন: বিরাট নজির! চতুর্থবার আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার ‘কিং কোহলি’]
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ”দরকারের সময় দ্রুত পেতে ভারত সরকারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা প্রদান করছি আমরা। বিশেষ করে পিঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুন ইত্যাদি যাতে জরুরি মুহূর্তে আমদানি করা সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত করার উপর গুরুত্বা দেওয়া হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু (True Friend)। ভারত যে কোনও সংকটে বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ISL ডার্বির দিনক্ষণ, পরপর দুমাসে মুখোমুখি ইস্ট-মোহন]
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি যেমন হস্তশিল্প, ইলেক্ট্রনিকস, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং খাদ্য পণ্য প্রবেশের সুযোগ তৈরি করার অনুরোধ জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী টিটুর কথায়, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সীমান্তের হাটগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে।