সুকুমার সরকার, ঢাকা: মহালয়ায় মন্দিরে যাওয়ার পথে বাংলাদেশে নৌকাডুবির (Boat Capsized) ঘটনায় আরও দীর্ঘ মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তার মধ্যে ৪০ জনই হিন্দু (Hindu)। মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। রবিবার পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওইদিন রাতের মধ্যেই প্রায় ৩০ জনের দেহ উদ্ধার হয়। আবার সোমবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আওলিয়া ঘাট ১৬ কিলোমিটার দূরে দেবীগঞ্জ ব্রিজ ও শালডাঙা ইউনিয়নের ধুলাঝারি এলাকা থেকে আটজনের ভেসে থাকা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ পরিচালক শেখ মহম্মদ মাহাবুবুল আলম জানান, ‘‘সকাল থেকে পঞ্চগড় এবং আশপাশের জেলার আটটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে। এর বাইরে রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং রাজশাহী থেকে তিনটি ডুবুরি দলে মোট ৯ জন ডুবুরি মিলে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন।’’ এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ (Deadbody) উদ্ধার হয়েছে। আর তালিকাভুক্ত নিখোঁজের সংখ্যা ৬০ জন।
[আরও পড়ুন: ‘চুল কেটে নেয় তালিবান’, ভারতে এসে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন আফগান শিখ শরণার্থী]
এদিকে, মর্মান্তিক এই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজের স্বজনরা সোমবার সকালে সূর্য ওঠার পর থেকেই ঘটনাস্থল করতোয়ার আওলিয়ার ঘাট ও এর আশেপাশে নিজেদের উদ্যোগেই তাঁদের স্বজনদের খোঁজ করছেন। রবিবার বিকেলে বোদা বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উৎসবে অংশ নিতে প্রায় দেড় থেকে ২০০ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী মাড়েয়া এলাকা থেকে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন নৌকায় (Boat) চড়ে। নৌকার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর জন্য আওলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীর মাঝে যাত্রী-সহ তা ডুবে যায়। তাতেই মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি, সপ্তমী থেকে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বাংলা]
পঞ্চগড়ের জেলাশাসক জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃতদের সৎকার ও দাফন প্রক্রিয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। মৃতদের পরিবার পিছু এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। দুর্ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।