সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। এবার ছাত্রদের গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়ে দিল তারা এককভাবে ৩০০ আসনে লড়াই করবে। সোমবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ৩০০ প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। খুব শীঘ্রই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এদিন এসসিপি নেতা নাহিদ বলেন, আমরা সংস্কার ও বিচারের কথা বলছি। কোনও রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে আসতে চাইলে আমরা ‘ওপেন’ আছি। এনসিপি একককভাবে এগোবে। নাহিদ আরও বলেন, পুলিশের যে সংস্কার, তা যথাযথ হয়নি। সেটি যেন নির্বাচনে কোনও প্রভাব না ফেলে সে বিষয়ে সরকারকে আশ্বস্ত করতে হবে। আমরা শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের কিছু ত্রুটির বিষয়ে বলে আসছি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আরও ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। বারবার বৈঠকের প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর কথা শোনা প্রয়োজন। এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে আমরা বলব, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে।
এরপরই নাহিদ বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৩০০ প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিগগিরই আমরা তালিকা প্রকাশ করব। বিচার ও সংস্কারের নীতি নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, আমরা ওপেন রয়েছি।
বিএনপি ও জামাতের সঙ্গে জোটের বিষয়ে এনসিপির মধ্যে এক ধরনের টানাপড়েন চলছে? এই বিষয়ে নাহিদ বলেন, এই ধরনের নিউজ সত্য নয়। এটি এনসিপিকে ফ্রেমিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটা দিকে ভেতরের টানাপড়েন দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এনসিপি যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ ও জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট চিন্তা করেই ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। যারা সরকারে রয়েছে, আমরা মনে করি, তারা সরকারের অংশ, যারা দলে রয়েছে, তাদের নিয়েই এনসিপি সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গণতন্ত্র পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে দেশের সার্বভৌমত্বই সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। রবিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেমিনারে রিজভি বলেন, দেশে এখনও গণতন্ত্র পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আর সেটা করার মাধ্যম হল নির্বাচন। প্রশাসন নিয়ে জামাত নেতা শাহ জাহান চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভি বলেন, তাঁর কথার মাধ্যমে আরেকটি শেখ হাসিনা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা পুলিশ র্যাবকে ছাত্রলিগ যুবলিগ বানিয়েছিলেন। জামাত নেতার বক্তব্যেও এমনই ভয়াবহ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
