সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবতা-বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মহম্মদ ইউনুসের ‘ক্যাঙারু আদালতের’ সেই রায়ের নিন্দায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আওয়ামি লিগও। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলল চিন। কী জানাল বেজিং?
চিন পরিষ্কার করে দিয়েছে এটা একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বেজিংয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ''এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আশা করি বাংলাদেশ সংহতি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অর্জন করবে।'' সেই সঙ্গেই তারা পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী হিসেবে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে ও সেদেশের জনতার সঙ্গে বন্ধুতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
চিনের এহেন মন্তব্যকে 'তাৎপর্যপূর্ণ' বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বরাবরের 'সুযোগসন্ধানী' চিন হয়তো চাইছে এই সুযোগে কোনও বিরোধিতা না করে মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সখ্য আরও গভীর করতে। সেন্ট হেলেনা দ্বীপে কবজা করার জন্য এটা চিনা কৌশল হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে হাসিনাকে দেওয়া রায় মানছে তাঁর দল। ফাঁসির সাজা ঘোষণা হতেই সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি মৌলবাদী এবং অনির্বাচিত সরকারের রায় অর্থহীন। এদের সাজা দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই। মানুষকে বোকা বানাতে নাটক চলছে। বাংলাদেশের ইতিহাস পালটে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে পারবেন হাসিনা কিংবা তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্যা হল হাসিনা যদি তা করেন, তবে ইউনুসের ট্রাইবুনালকে মান্যতা দেওয়া হবে। শুরু থেকে যার বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল। প্রশ্ন উঠছে, গৃহযুদ্ধ বাঁধবে বাংলাদেশে? হাসিনা-ঘনিষ্ঠ আওয়ামি লিগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরীর কথায় বাড়ছে আশঙ্কা।
