সুকুমার সরকার, ঢাকা: তারেক রহমানই বাংলাদেশের ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’। নির্বাচনী আবহে বড় ঘোষণা করে দিলেন বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। শনিবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিল অধিবেশনে লন্ডন থেকে ভারচুয়ালি যুক্ত হন জিয়াপুত্র তারেক রহমান। তাঁকেই ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে সম্বোধন করে দেশের স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য, ‘‘আজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় শুধু নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা, ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি, ভবিষ্যতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ এখানে বসে আছেন। আমি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, আমাদের এই নেতা আমাদের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর দৃষ্টিতে এটা আনতে চাই। তার স্ত্রীও (জুবাইদা রহমান) একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। আপনাদের এখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছ, এই বিষয়টার দিকে তিনি অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব দেবেন। কারণ ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, এটা বড় বিশাল একটা দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।’’
সপ্তাহখানেক আগে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন অন্তবর্তী সরকার। ফলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল লড়তে পারবে না। আর তা আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে সাবেক শাসকদল বিএনপিরও। মহাসচিব তো সাফ বলেই দিয়েছিলেন, ”এই মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনও ভয় নেই। যেখানে আওয়ামি লিগ নেই, সেখানে আমরা কোনও চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছি না।”
লন্ডন থেকে ভারচুয়ালি যুক্ত হওয়া তারেক রহমানকে এই সময় তুমুল করতালি দিয়ে চিকিৎসকরা অভিনন্দন জানাতে থাকেন। কাকরাইলের উইলন্স লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব’ এর জাতীয় কাউন্সিল-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও।
তাঁর বক্তব্যের পর মির্জা ফখরুল ফের বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন চলার সময় আমাদের অনেক চিকিৎসককে বাধা দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসা দেওয়ায় আহতদের এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, জাতি আপনাদের সম্মান জানাচ্ছে, আপনারা যারা ওই সময় ঝুঁকি নিয়ে আহতদের চিকিৎসা করেছেন, সেটা জাতি কোনওদিন ভুলবে না।’’
