সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কিছুক্ষণের মধ্যে শেখ হাসিনা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। কী রায় দেয় আদালত, সে দিকে তাকিয়ে প্রায় সকলে। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
প্রথম অভিযোগ: গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আন্দোলনকারীদের 'রাজাকারের বাচ্চা ও নাতিপুতি' হিসাবে আখ্যা দেন হাসিনা। আন্দোলনকারীদের উপর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি-সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আওয়ামি লিগ সদস্যদের হামলা।
দ্বিতীয় অভিযোগ: শেখ হাসিনার আন্দোলনকারীদের হত্যা ও নির্মূলের নির্দেশ দেন। হেলিকপ্টার, ড্রোন এমনকী তাঁদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্র হামলার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশে ফলে হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীর প্রাণ যায়।
তৃতীয় অভিযোগ: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা কাণ্ডে শেখ হাসিনা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ।
চতুর্থ অভিযোগ: ৫ আগস্ট, ২০২৪ সালে ঢাকার চাঁনখারপুলে হাসিনার নির্দেশে ৬ জনকে গুলি করে খুন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পঞ্চম অভিযোগ: ঢাকার আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ৫ এবং একজন জীবিতকে পুলিশের গাড়িতে পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দান।
এদিকে, রায় ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। রয়টার্স সূত্রে খবর, রবিবার রাতে থানা সংলগ্ন এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও মহম্মদ ইউনুসের পরামর্শদাতাদের একজনের বাড়ির বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকার তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে এবং আমতলি মোড় এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। আরও বেশ কিছু এলাকায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ অশান্তি শুরু হয়েছে ঢাকায়। অশান্তি রুখতে ব্যাপক কড়াকড়ি করেছে ঢাকা পুলিশ। কেউ যদি বাসে আগুন ধরাতে চায় বা ককটেল বোমা ছুড়তে যায়, তাহলে দেখামাত্র গুলি চালাতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ কর্মীকে এই নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার সাজ্জাত আলি।
