সুকুমার সরকার, ঢাকা: শহিদ মিনারে (Shaheed Minar) ফুল দেওয়ার অধিকারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নানা জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসকদলের যুবলিগ, স্বেচ্ছাসেবক লিগ ও শ্রমিক লিগের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। ঘটনার জেরে ৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কাণ্ড ঘটে। পরে জেলা আওয়ামি লিগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে নেতাকর্মীদের এমন সংঘর্ষের ঘটনার জেরে ফুল-মালা দিতে আসা বাকিদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে অনেকেই ফুল না দিয়ে চলে যান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিছে, সকাল ন’টা নাগাদ জেলা আওয়ামি লিগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহিদ মিনারে ফুল দিতে আসেন। আওয়ামি লিগের পক্ষে ফুল দেওয়ার পর শ্রমিক লিগের এক পক্ষের নাম ঘোষণা করলে অন্যপক্ষ বাধা দেয়। তাতেই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষের স্তরে পৌঁছে যায়।
[আরও পড়ুন: তিন বছরে ছুটি নেননি একটিও! রেকর্ড বাংলাদেশের রেল গেটের প্রহরী ফাতেমা খাতুনের]
এদিকে দেশের পশ্চিম জনপদের জেলা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মহান শহিদ দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্র লিগের মধ্যেও ঝামেলা হয়। মঙ্গলবার জেলার সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের পেছনে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ছাত্র লিগের কর্মী ইরফান রেজা রুকু ও ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন-সহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছাত্র লিগ কর্মী ইরফান রেজা রুকুকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে শহরের সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময়ও ঝামেলা হয়। ইট, পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এক সময় সেখানে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। তাতেই গোটা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।
