সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন উদযাপন! ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অর্থাৎ ওই দিনটিতে এবার থেকে সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হবে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দিলেন ইউনুস সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা তথা চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকি। জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে এই দিনটি পালিত হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুকী বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ঘিরে আগামী ১ জুলাই থেকে কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। আগামী সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। ১৪ জুলাই থেকে মূল আয়োজন চলবে। গত বছর তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেভাবে দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেভাবে কর্মসূচি করা হবে।’’ এরপরই তিনি জানান, ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল। সাংস্কৃতিক উপদেষ্টার কথায়, ‘‘এখন থেকে ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালন করা হবে। রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন দিবস জাতীয় দিবস হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
ইউনুস সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তাফা সরয়ার ফারুকি।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে যেভাবে তৎকালীন হাসিনা সরকারের পতনের কারণ হয়ে উঠেছিল, তা নিঃসন্দেহে সে দেশের ইতিহাসের একটা বড় অধ্যায়। আন্দোলনের চাপে পড়ে পদ ছেড়ে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে কার্যত বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দিনটি ছিল ৫ আগস্ট। তাঁর সরকারের মন্ত্রীরাও একের পর এক দেশত্যাগ করেন।
পরিস্থিতির জেরে বিশৃঙ্খল বাংলাদেশের দায়িত্বভার দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে। ছাত্র-জনতার দাবি মেনে সেই প্রশাসনের প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। কাছের লোকজনকে নিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী সাজান তিনি। তাঁর প্রশাসনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার পদ পান স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক মোস্তাফা সরয়ার ফারুকি। তিনিই এদিন জানিয়েছেন, হাসিনার পতনের দিনটিকে স্মরণে রেখে উদযাপন করা হবে। তারই অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হবে।