সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেশজুড়ে আরও বড় আন্দোলনে নামার। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল। আপাতত স্থগিত ঢাকার সচিবালয়ে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন। টানা চারদিন বিক্ষোভ চলার পর আজ মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। বেশ কিছুক্ষণ একটি বৈঠক হয়। আলোচনা শেষে ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, কর্মচারীদের দাবি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ করব। এ জন্য কর্মচারীদের আন্দোলন আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি। তবে অন্যদিকে গোটাদেশে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের আধিকারিকরা কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন।
শেখ হাসিনার আমলের ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর রবিবার (২৫ মে) রাতে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশটি অনুমোদনের পর থেকেই গত কয়েকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন আধিকারিক ও কর্মচারীরা। অধ্যাদেশ জারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা বাতিল করার দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সরকারি কর্মীরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়।
আজ সচিবালয়ের ভিতরে সেখানকার কর্মচারী ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকী দুপুর ১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরপর সচিবালয়ের ভিতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারীদের এক নেতা মহম্মদ নুরুল ইসলাম। কর্মসূচি চলাকালীন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, এটা মত প্রকাশের অধিকারের লঙ্ঘন। আজকে তাঁদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ বাতিল না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না। ভবিষ্যতে এই আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নুরুল। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আজকে যদি কোনও ভালো খবর না পাওয়া যায়, তাহলে এই আন্দোলন চলবে, তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। তবে আগামীকাল যদি বৈঠক সদর্থক না হয় তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
