সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের একাধিক বড় বড় ইমারত, প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ক্লাসরুম, সেমিনার হল, হস্টেলের ঘরের ভগ্নদশা। বিশেষত শ্রেণিকক্ষগুলিতে ফাটল ধরে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। বহু পুরনো ঘরগুলি যে কোনও সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এসব দেখে স্বভাবতই আতঙ্কিত পডুয়ারা। চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষও। সেই কারণে আর ঝুঁকি না নিয়ে আপাতত ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২৩ নভেম্বর, রবিবার বিকেলের মধ্যেই সব পড়ুয়াকে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন মেরামত হলে আবার ক্লাস চালু হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হলগুলি পুরনো, এর প্রতিটিতেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কতটা কী হয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করে মেরামত প্রয়োজন। সেই কারিগরি পর্যবেক্ষণের জন্য অন্তত ৪ সপ্তাহ প্রয়োজন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এর জন্য সব হল খালি করা প্রয়োজন। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা ২ সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে হস্টেল, হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। প্রোক্টর এও জানিয়েছেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ঘর পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তাই হস্টেল ছাড়ার পর সমস্ত ঘরের চাবি সংশ্লিষ্ট হাউস টিউটরকে জমা দিতে হবে আবাসিকদের। পরে হস্টেলে ফিরে তাঁর থেকেই চাবি সংগ্রহ করে নিজের ঘরে যেতে হবে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রবল কম্পনের সাক্ষী ছিল বাংলাদেশ। নরসিংদীতে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা দেশেই। শিশু-সহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। ওইদিনের কম্পনের জেরে দেশের বহু ইমারত, প্রাচীন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভগ্নপ্রায় দশা সেসবের। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে শনিবারও প্রায় একই সময় ফের কম্পনের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার বাইপাইলে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। পরপর এই ঘটনায় স্বভাবতই সতর্কতা বেড়েছে। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা।
