সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের আতঙ্কে কাঁপল বাংলাদেশ। শনিবার সকালের দিকে ঢাকা সংলগ্ন আশুলিয়া, গাজীপুর এলাকা কেঁপে উঠল। রিখটার স্কেলে কম্পনমাত্রা ৩.৩। সন্ধ্যা নাগাদ ফের ৩ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকা আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, একটি ভূমিকম্প হলে আরো কয়েকটি ছোট ছোট ভূমিকম্প হতে পারে৷ আবার বড় ভূমিকম্পের আগেও ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। কম্পনের উৎপত্তিস্থল বাইপাইল।সকাল ১০ টা ৩৬ মিনিট নাগাদ বাইপাইলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই। পরপর দু'দিনে এভাবে ভূমিকম্প হওয়ায় তীব্র আতঙ্কিত দেশবাসী।
মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই বড়সড় আতঙ্কের পরিবেশ ছিল বাংলাদেশ জুড়ে। শুক্রবার সকালে নরসিংদী এলাকার মাধবদীতে ৫.৭ মাত্রার কম্পনে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বলা হচ্ছে, গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় কম্পন বাংলাদেশে। ঢাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। শিশু-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবারের ভূমিকম্পে। নরসিংদীতে সর্বোচ্চ, ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রচুর বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। বড় বড় ইমারত, রাস্তাঘাটে ফাটল ধরেছে। ঢাকার প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, কম্পন যদি আর ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হতো, বড় বিপর্যয় ঘটতো। ইতিমধ্যে ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন সরকারি পরিদর্শন করেছেন। কোনও কোনও ভবনে ফাটল ধরেছে। তা দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা চলছে।
শুক্রবারের কম্পনের অভিজ্ঞতা এতটাই ভয়াবহ যে সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না অনেকে। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির চেয়েও মানসিক ট্রমায় তাঁরা ভুগছেন। তারই মধ্যে আবার শনিবার ১০টা ৩৬ মিনিট নাগাদ ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার বাইপাইলে কম্পন অনুভূত হয়। প্রথমে বুঝতে না পারলেও মুহূর্তের মধ্যে কম্পন টের পেতেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে মানুষজনের। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শনিবারের কম্পনে প্রাণহানি হয়নি। কারও কারও দাবি, এটা শুক্রবারেরই আফটারশক।
