সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ধৃত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের গ্রেপ্তারি নিয়ে সর্বত্র তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে হাই কোর্ট ছ’সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দিল সংবাদপত্রটির সম্পাদক মতিউর রহমানকে। রবিবার বিকেলে হাই কোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মহম্মদ আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকার (Dhaka) রমনা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন মতিউর রহমান। ‘হুকুমের আসামি’ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে (Indepenmdence Day) সে দেশের প্রথম সারির সংবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, জাতির জন্য মানহানিকর’ বলে উল্লেখ করে ২৯ মার্চ মাঝরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (DSA)মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী মশিউর মালেক। ওই মামলায় পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া নাম উল্লেখ না করে একজন ‘সহযোগী চিত্র সাংবাদিক’কে আসামি করা হয়েছে মামলার এজাহারে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদক ছিলেন শামসুজ্জামান।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডি দপ্তরে হাজিরার আগেই গুলিতে ঝাঁজরা রাজু! কয়লা মাফিয়া খুনে আরও রহস্য]
ওই প্রতিবেদনে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ উপাদান রয়েছে বলে দাবি ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতারা। একজন শ্রমজীবী মানুষকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।” ওই মন্তব্য ধরে শিরোনাম করা হলেও ছবি দেওয়া হয় আরেক শিশুর, যার কথা প্রতিবেদনের ভিতরে ছিল। ওই ছবি ও শিরোনাম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কার্ড পোস্ট করা হয়, যা ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তাতে সংবাদপত্রের সম্পাদককে আসামি করা হয়। সেই মামলাতে তিনি ৬ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পেলেন।
[আরও পড়ুন: ‘রাজু আমার ছোট ভাইয়ের মতো’, শক্তিগড়ে ‘কয়লা মাফিয়া’ খুনে দুঃখপ্রকাশ অর্জুনের]
এদিকে প্রথম আলোর আলোচিত ওই প্রতিবেদনে ‘জঘন্য অপরাধ’ হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘অনেক সহ্য করেছেন’ তারা; এবার ‘শাস্তি হওয়া উচিত’। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।